শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ডিএসইসি’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাইজিং বিডির আরিফ আহমেদ কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের র‍্যালি অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হাওরে কৃষকদের মাঝে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শরবত ও ঠান্ডা পানি বিতরণ ডিএসইসি’র সভাপতি অনিক সম্পাদক জাওহার ইকবাল মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ফরাসি প্রেসিডেন্টের স্ত্রী নারী নাকি পুরুষ, লিঙ্গপরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬১১২ বার পঠিত

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর লিঙ্গপরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, ব্রিজিত আসলে একজন ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামী নারী।

তাদের দাবি, পুরুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন ব্রিজিত। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফরাসি সরকার। তারা এটিকে গুজব হিসেবেও আখ্যায়িত করেছে। এছাড়া ফার্স্ট লেডি ব্রিজিতের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে উগ্র ডানপন্থীদের একটি ওয়েবসাইটে ব্রিজিতের লিঙ্গপরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও ষড়যন্ত্রমূলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে তা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গুজব রটে, ব্রিজিত আসলে রূপান্তরকামী নারী। পুরুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন। জন্মের সময় তার নাম ছিল জ্যঁ-মিশেল ত্রোগনিউক্স।

পেশায় শিক্ষক ব্রিজিতের বয়স এখন ৬৮ বছর। হাইস্কুলে ম্যাক্রোঁর শিক্ষক ছিলেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে তিন সন্তানের জননী এই নারী। ব্রিজিতের মেয়ে লরেন্স ম্যাক্রোঁর সহপাঠী ছিলেন। এরপরও বিবাহিত ব্রিজিতের প্রেমে পড়েন ম্যাক্রোঁ। ব্রিজিত ২০০৬ সালে তার স্বামীকে ডিভোর্স দেন। পরের বছর বিয়ে করেন ম্যাক্রোঁকে। ২০১৭ সালে ম্যাক্রোঁ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলে দেশটির ফার্স্ট লেডির দায়িত্ব নেন ব্রিজিত।

ফরাসি পত্রিকা লিব রেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উগ্র ডানপন্থী একটি অনলাইন পোর্টালে এক নারী প্রথম ব্রিজিতের লৈঙ্গিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি লেখা লেখেন। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ব্রিজিতের আইনজীবী জেন এন্নোচি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ফরাসি ফার্স্ট লেডির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলক এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিজিত। ম্যাক্রোঁর বিরোধীরা, বিশেষত উগ্র ডানপন্থী, করোনার টিকাবিরোধী এবং যড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট থেকে এই গুজব ছড়ানো হয়েছে।

তবে এবারই প্রথম নন, এর আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন ব্রিজিত। স্বামীর চেয়ে বয়সে প্রায় ২৫ বছরের বড় হওয়ায় অনেকেই তাকে নিয়ে মজা করেছিলেন। আগামী বছর ফ্রান্সে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার ঘোষণা এখনও দেননি ম্যাক্রোঁ। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নির্বাচনে লড়বেন। তাই নির্বাচন সামনে রেখে ব্রিজিতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন বিরোধীরা। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি বা গুজব রটানোর ঘটনা এটিই প্রথম নয়।

ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি ও প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা পুরুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন বলে গুজব রটানো হয়েছিল। সে সময় দাবি করা হয়েছিল, মিশেল ওবামার আসল নাম মিশেল লভাউগান রবিনসন। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নও লিঙ্গপরিচয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের শিকার হয়েছেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..