সাব্বির আলম বাবু (ভোলা, ব্যুরো চিফ):
জাগো ফাউন্ডেশন ও একশন এইডের যৌথ সহযোগিতায় ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ভোলা জেলার উদ্যোগে বায়োগ্যাস প্লান স্থাপন এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বায়োগ্যাস প্লানের দীর্ঘ মাস ব্যাপী কার্যক্রম শেষে আগুন ধরিয়ে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কামাল হোসেন, নাজিউর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জুন্ন রায়হান, ইউপি সদস্য, সংবাদকর্মী, এলাকার জনসাধারণ এবং ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ভোলা জেলার বোর্ড মেম্বার কমিটি ও সাধারণ ভলান্টিয়াররা।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তৌহিদুর রহমান বলেন, বায়োগ্যাস প্লান স্থাপন এর মধ্য দিয়ে যেমন পরিবেশ দূষণ মুক্ত হবে এবং সাথে অর্থ নৈতিক সচ্ছলতা কমবে এবং গাছ কাটা নিরোধ হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, আমাদের উচিৎ সবাই সবার যায়গা থেকে সচেতন পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা এবং পরিবেশ দূষণ মুক্ত করা তা আমরা সুন্দর একটি লাল সবুজের বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবো।
ভোলা সদর ধনিয়া ছোট আলগী তালুকদার বাড়ি আব্দুস সাত্তার তালুকদারের বাসায় আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। আব্দুস সাত্তার বলেন, আমার একটি ছোট গরুর খামার আছে খামারে ০৮টি গরু আছে। কিন্তু বায়োগ্যাসের প্লানের ব্যাপারে আমি আগে জানতাম না যে গৃহপালিত গরুর গোবর দিয়ে এভাবে বায়ুগ্যাস উৎপন্ন করা যায়। আমি গরুর গোবর এলোমেলো ভাবে ফেলতাম। পরে আমাকে এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ নামের একটি ভোলা জেলা সংগঠনের কয়েক জন স্বেচ্ছাসেবী।
ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা আমাকে বলে গরুর গোবর আর এলোমেলোভাবে ফালাবেন না গরুর গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস উৎপন্ন করা যায়। পরে আমি তাদের থিওরি অনুযায়ী বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করেছি। ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা আমাকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করতে ৪৫ হাজার টাকা গিয়েছে। ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা আমার পাসে সবসময় পেয়েছি তারা পাসে না থালে আমার দ্বারা একা বায়োগ্যাস প্লান্টি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না। এই বায়োগ্যাসের দ্বারা আমার বাসার সব রকমের রান্না করতে পারি। প্রতিদিন ০৮ ঘন্টা বায়ু গ্যাস দ্বারা রান্না করা যাবে।
ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ভোলা জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, ভোলা সদর দনিয়া ছোট আলগী তালুকদার বাড়ি আব্দুস সাত্তার ভাইকে বায়োগ্যাস প্লান্ট এর কথা বলি সে রাজি হয়েছে। তাকে আমরা অর্থনৈতিক ভাবে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করি।
মনিরুল ইসলাম আরো বলে, যদি এই গ্রামের আরও কেউ করতে চায় তাকেও আমরা অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করব এবং বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন করলে তারা পরিবেশ দূষণ মুক্ত হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী হবে।