নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে চুবনি দেওয়া উচিত।
আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করেছিল ড. ইউনূস। কেন তাঁকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদে থাকতে হবে? তাঁকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম গ্রামীণ ব্যাংকের উপদেষ্টা হতে। সেটা সে থাকবে না, তাঁকে এমডিই থাকতে হবে। কিন্তু তাঁর বয়সে কুলায় নাই।
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস কিন্তু আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। কিন্তু কোর্ট আর যাই পারুক, তার বয়স তো কমিয়ে দিতে পারবে না। গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে বলা আছে ৬০ বছর পর্যন্ত থাকতে পারবে, তখন তাঁর বয়স ছিল ৭১ বছর। এই বয়স তা সে কমাবে কীভাবে ? এই মামলায় সে হেরে যায়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ড. ইউনূস ও মাহফুজ আনাম আমেরিকায় চলে যায়। তাঁরা স্টেট ডিপার্টমেন্টে যায় ও হিলারির কাছে যায় এবং ইমেইল পাঠায়। হিলারী শেষ পর্যায়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে মিস্টার জলিল যিনি অ্যাসিসটেন্ট ডাইরেক্টর ছিলেন, তিনি শেষ কর্মদিবসে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিলেন। যাক একদিকে আমাদের সাপে বর হয়েছে। বাংলাদেশ যে নিজের অর্থে পদ্মা সেতু করতে পারে, তা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের এখানে একজন জ্ঞানী মানুষ বলে ফেললেন, ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে ও ৪০ হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আরেকজন বললেন দক্ষিণবঙ্গের কোনো মানুষতো রেলে চড়বে না। তারা তো লঞ্চে যাতায়াত করে। তাদের রেলে যেতে হবে কেন। এই রেল ভায়াবেল হবে না। সেতুর কাজ হয়ে গেছে, সেতু নিয়ে কথা বলতে পারছে না। এখন রেলের কাজ হচ্ছে রেল নিয়ে তারা কথা বলছে।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় সকলের উনাকে চিনে রাখা উচিত এবং রেল যখন চালু হবে তখন উনাকে রেলে নিয়ে চড়ানো উচিত। আর খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়া তালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে। কারণ যে স্প্যানগুলো বানানো হচ্ছিলো ওই ছিল তার কাছে জোড়াতালি দেওয়া। বলেছিল, জোড়া তালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে, এটা ভেঙে পড়বে। সাথে কিছু দোসররাও ছিল। তাদেরকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে ওখান থেকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যিনি এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করেছিল তাকেও আবার পদ্মা নদীতে দুইটা চুবনি দেওয়া উচিত, যেনো মরে না যায়।