বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৮:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ডিএসইসি’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাইজিং বিডির আরিফ আহমেদ কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের র‍্যালি অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হাওরে কৃষকদের মাঝে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শরবত ও ঠান্ডা পানি বিতরণ ডিএসইসি’র সভাপতি অনিক সম্পাদক জাওহার ইকবাল মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

জাতিসংঘে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ৫৯৯৯ বার পঠিত

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন করা হ‌য়ে‌ছে।

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন করা হ‌য়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প‌রে শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী পাঠ করার পর শেখ রাসেলের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতাকে বর্বরোচিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ রাসেল মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল। ঘাতকেরা মায়ের কাছে নেওয়ার নাম করে নিষ্পাপ ও কোমলমতি শিশু রাসেলকে টেনে হিছড়ে নীচতলা থেকে দোতলা পর্যন্ত নিয়ে যান এবং হত্যা করেন। একটি শিশুর প্রতি এমন নৃশংসতা বিশ্বে বিরল।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিদের কেউ কেউ এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পালিয়ে আছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা এ সব নৃশংস খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের আওতায় আনতে সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করতে হবে।

রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতির পিতা খ্যাতনামা দার্শনিক বার্টান্ড রাসেলের নামে কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রেখেছিলেন। আজ রাসেল আমাদের মাঝে নেই। সেদিনের শিশু রাসেল বেঁচে থাকলে হয়ত দার্শনিক বার্টান্ড রাসেলের মতোই জগৎ বিখ্যাত হতেন, কিন্তু খুনিরা শিশু রাসেলকে বাঁচতে দেয়নি।

শেখ রাসেল হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশুর অধিকার রক্ষায় আরও অবদান রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান স্থায়ী প্রতিনিধি।

রাষ্ট্রদূতের স্বাগত বক্তব্যের পর মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন দেশ ও দেশের বাইরে শেখ রাসেল দিবস উদযাপনের মাধ্যমে দেশে ও প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোররা শেখ রাসেল সম্পর্কে আরও জানতে পারবে। এর মাধ্যমে শেখ রাসেলের পবিত্র স্মৃতি আজীবন সবার মাঝে বেঁচে থাকবে, যা শিশু-কিশোরদের মানবতাবাদী ও অধিকারবোধসম্পন্ন ভবিষ্যৎ নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..