বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান সিকদারকে (২৮) পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। মেহেদী হাসান উপজেলা ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিতে সভাপতি পদপ্রার্থী।
হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান বলেন, সন্ধ্যার দিকে আকন বাড়ি খেয়াঘাট এলাকার একটি দোকানে এক লোক নিয়ে চা খাচ্ছিলাম। দোকানে লোকজন না থাকার সুযোগে বেতাগী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক ১০-১২ জন লোক নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার উপর হামলা করে। তারা পাইপ ও দা দিয়ে আমার পায়ে এলোপাথারি আঘাত করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। এখান থেকে চিকিৎসকেরা আমাকে বরিশালে রেফার করে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বেতাগী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, রাজনৈতিক ঝামেলার প্রেক্ষাপটে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা। আপনারা অভিযোগটি তদন্ত করুন। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে তাহলে আপনারা যা খুশি তাই লিখবেন।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মেহেদীকে উদ্ধার করে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। সেখান থেকে তাকে বরিশালে রেফার করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় দোকানদারদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা কেউই রফিকের উপস্থিতির কথা বলে নাই।