কুমিল্লার মুরাদনগরে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পেন্নই গ্রামের কৃষি জমি। অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকাবাসী বাধা দিলেও কাজ হচ্ছে না। এর আগে প্রশাসন থেকে অভিযান চালিয়ে একাধিক বার বন্ধ করলেও সম্প্রতি তারা আবারও অন্তত দুটি ড্রেজার ও ভেকু স্থাপন করে মাটি ও বালু উত্তোলন শুরু করেছেন। মাটি ব্যবসায়ী আনোয়ার মেম্বারের বেপরোয়া ড্রেজিংয়ে ফলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে কৃষি জমিগুলো। আনোয়ার ও তার ভাইয়েরা মিলে শ্রীকাইল ইউনিয়নের পেন্নই গ্রামে টানা ৫ বছর ড্রেজার ও ভেকু চালিয়ে প্রায় তিন একর কৃষি জমি ও সরকারী খালের মাটি বিক্রি করে আসছেন। পাশাপাশি ভেকু দিয়ে তিন ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে বিলিন করে দিচ্ছেন এই সিন্ডিকেট।
স্থানীয়রা জানায়, আনোয়ার মেম্বার ও তার ভাইয়েরা মাটি ব্যবসার মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। কৃষি জমি রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে প্রশাসনের লোকজন অভিযানে আসার আগেই ড্রেজার ব্যবসায়ীরা মাঠ ছেড়ে দূরে চলে যায়। তারপর অভিযোগকারীদের ওপর শুরু হয় আনোয়ার বাহিনীর অত্যাচার ও চোখ রাঙানি।
সম্প্রতি উত্তর পেন্নই নতুন বাজারের পেছনে সরিষার জমিতে ড্রেজিং করছেন আনোয়ার। জমিগুলোতে সরিষা , দেশী আলু, ধনিয়া, মটর শুটি, ও গমের ভালো ফলন হয়। মূল্যবান এই কৃষি ফসলী মাঠ কেটে নষ্ট করে দিচ্ছেন মাটি খেকো মেম্বার সিন্ডিকেট।
এবিষয়ে ড্রেজার ব্যবসায়ী আনোয়ার মেম্বার বলেন ,আর মাত্র ৫ দিনের কাজ আছে ওটা শেষ হলে বন্ধ করে দিবো। আমার ভাইয়েরা বিদেশ থেকে এসে বেকার তাই মাটির ব্যবসা করে।
শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার বলেন, আনোয়ার পেন্নই ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার। তার ড্রেজিং বন্ধ করতে আমি কয়েকবারই পদক্ষেপ নিয়েছি সে কোন কথা শুনে না। কয়েকমাস আগে এসিল্যান্ড স্যার ড্রেজার বন্ধের অভিযান করতে আসলে তার লোকজন স্যারের গাড়ির চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয়।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী বলেন, এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ড্রেজার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। কৃষকরা আরোও সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।