পটুয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দারোয়ান শাহজালাল তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরী রুম সহ অন্যান্য রুম দখল করে বসবাস করে আসছে।
জানা যায়, ২০০৪ সালে পটুয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে দারোয়ান হিসেবে যোগদান করেন শাহজালাল। যোগদানের পর থেকেই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রুমের ভিতরে বাসাবাড়ি করে বসবাস করে আসছে। বর্তমানে তার দুই পটুয়াখালী সরকারি কলেজ পড়ুয়া ছেলে নিয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে থাকার বিষয়ে অভিভাবকদের মনে জেগেছে নানা প্রশ্ন। এছাড়া বিদ্যালয়ের দ্বীতল ভবনের সিড়িরুম এবং বারান্দায় রেখেছেন লাকড়ী সহ গৃহস্থালীর বিভিন্ন ধরনের মালামাল। রান্নার জন্য বারান্দা দখল করে বসানো হয়েছে মাটির চুলা ও গ্যাসের চুলা। সেখানে রান্নার কাজ করছেন প্রতিদিন পাঁচ সদস্যের পরিবার। চুলার ধোয়ার কালিতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে নষ্ট হয়েছে রুমের দেয়ালের রং। এর ফলে ল্যাবরেটরী ব্যবহার করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। ব্যাহত হচ্ছে ল্যাবরেটরীর গবেষনা কাজ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ল্যাবটরীতে শিক্ষার্থীরা কাজ না করতে পাড়ায় ল্যাবটরীর বেঞ্চ, টেবিল ও অন্যান্যা সরঞ্জামে এক ইঞ্চি পরিমান ধুলা জমে রয়েছে এবং ল্যাবটরীর ভিতরের আসবাবপত্র রয়েছে এলোমেলো।
একটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে একজন দারোয়ান তার বড় বড় ছেলে মেয়ে নিয়ে স্বপরিবারে একযুগেরও বেশি সময় ধরে কিভাবে বসবাস করছেন এটা কারো বোধগম্য নয়।। যার ফলে অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ঠি হচ্ছে।
এবিষয়ে শাহজালাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমিতো শিক্ষকদের নিদের্শে এখানে থাকি এবং নাইট গার্ড হিসেবেও দায়িত্ব পলন করছি। আমার ছেলেরা কলেজে পড়াশুনা করলেও তাদের কারণে বিদ্যালয়ের মেয়েদের কোন ক্ষতি হয় না।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে এভাবে থাকার নিয়ম নাই কিন্তু আমাদের সুবিধার জন্য তাকে স্বপরিবারে থাকতে দিয়েছি।
প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার পূর্বের প্রধান শিক্ষক শাহজালালকে এখানে থাকতে দিয়েছে এরই ধারাবাহিকতায় আমিও তাকে থাকতে দিয়েছি।
জেলা শিক্ষা অফিসার মু. মুজিবুর রহমান জানান, এটা আমার জানার কথা না। সরকারি স্কুলের হেড মাস্টার এবং আমি এক লেভেলের তাই তাদের পর্যবেক্ষণ আমি করি না। তাহাদের অভিভাবক উপ পরিচালক।
এ ব্যাপারে আঞ্চলিক উপ-পরিচালক বরিশাল মো: আনোয়ার হোসেনকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।