বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ডিএসইসি’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাইজিং বিডির আরিফ আহমেদ কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের র‍্যালি অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হাওরে কৃষকদের মাঝে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শরবত ও ঠান্ডা পানি বিতরণ ডিএসইসি’র সভাপতি অনিক সম্পাদক জাওহার ইকবাল মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

বগুড়ায় মেডিকেলে চান্স পাওয়া দারিদ্র্য শিক্ষার্থীর পাশে বগুড়া জেলা প্রশাসন

এনামুল হক রাঙ্গা (বগুড়া প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৮৩৬ বার পঠিত

দরিদ্র পরিবারের অভাবের কারণে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অনিশ্চিতয়তার মধ্যে পড়েছিলেন বগুড়ার নাজিরা সুলতানা। এ অনিশ্চয়তা কাটাতে তার পাশে দাঁড়িয়েছে বগুড়া জেলা প্রশাসন।

বুধবার দুপুর আড়াইটার সময় নাজিরার বাড়িতে গিয়ে মেডিকেলে ভর্তির জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন বগুড়া  জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।

নরসুন্দর ( নাপিত) কন্যা শিক্ষার্থী নাজিরা বগুড়া জেলা সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের মেয়ে৷ ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ৭২ স্কোর নিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি। মেরিট পজিশন ১৫৬৮ । ২০২০ সালে ছয়পুকুরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০২২ সালে সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন নাজিরা। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পান তিনি।

নরসুন্দর (নাপিত) নজরুল ইসলামের মেয়ে নাজিরা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে অনিশ্চয়তা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরেই আর্থিক সহায়তা নিয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম হাজির হন নাজিরার বাড়িতে।

নাজিরা সুলতানা বলেন, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। বাবা গরিব মানুষ। ভর্তি বাবদ ও বইখাতা কেনাসহ অনেক টাকার প্রয়োজন৷ এতো টাকা একসাথে জোগাড় করা আমার পরিবারের জন্য অনেক কষ্টসাধ্য। মেডিকেলে ভর্তির জন্য ডিসি স্যার ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। খুব খুশি হয়েছি। ভর্তির টাকার নিয়ে সমস্যা থাকল না। সবার কাছে দোয়া চাই, যেন লেখাপড়া শেষ করে ভালো ডাক্তার ও মানুষ হতে পারি।

নাজিরার বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, স্যারদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে  শেষ করতে পারবো না৷ মেডিকেলে ভর্তিতে  মেয়ের অন্তত ২০ হাজার টাকা ও থাকা খাওয়াসহ হিসেব করলে অনেক টাকার দরকার ছিল। এখন আর কোন সমস্যা নেই। মেয়েটা আমার অনেক কষ্ট করে এই পর্যন্ত আসছে। দোয়া করবেন বড় ডাক্তার হয়ে নাজিরাও যেনো মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের কাজই হচ্ছে সরকারের সব ইতিবাচক কাজ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া ও জনসেবামূলক কাজ করে যাওয়া। খবর পেয়েছিলাম, নাজিরা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। এরপর আমরা তাকে ভর্তির জন্য টাকা দিয়েছি। এটা আমাদের সেবামূলক কাজ। এছাড়া নাজিরার মতো এমন যারা রয়েছে তাদের পাশেও দাড়াবে বগুড়া জেলা প্রশাসন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..