আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে গেজেট স্থগিতের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ গ্রহণসহ পরবর্তী কার্যক্রমে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আপিল বিভাগে রিট আবেদনকারী আইনজীবীর আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এ তথ্য জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
আগামী ২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে। পরদিন ২৪ এপ্রিল থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা রয়েছে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের।
একক প্রার্থী হওয়ায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ৭ মার্চ এ প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে একটি রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
অপরদিকে, গত ১২ মার্চ রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা সংক্রান্ত ইসির প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে আবদুল মোমেন চৌধুরী ও কে এম জাবিরসহ ছয়জন আরেকটি রিট দায়ের করেন। পরে ১৫ মার্চ দুটি রিটের ওপর শুনানি শেষে সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ জানান, গত ১৫ মার্চ রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে সিএমপি (হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে) ফাইল করেন এম এ আজিজ খান। আজ চেম্বার জজ আদালতে স্থগিত আবেদন উপস্থাপন করেন তিনি। আবেদনে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত ও পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ১৩ ফেব্রুয়ারির গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চান। বাদীপক্ষে এম এ আজিজ খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে আমার বক্তব্য শুনে স্থগিত আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
এর ফলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কোনো আইনি জটিলতা থাকল না ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া বৈধ বলে গণ্য হলো। রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ গ্রহণসহ পরবর্তী অন্যান্য কার্যক্রমে আর কোনো বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপেক্ষের এই আইনজীবী।