সিনিয়র সাংবাদিক ও জাতীয় সংবাদ সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক বার্তা সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে লিভারের রোগে মারা গেছেন।
তার বয়স ছিল ৬৩।
তিনি আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী দৈনিক সংবাদে তার সাংবাদিকতা শুরু করেন। সেই সাথে তিনি একজন অর্থনৈতিক সাংবাদিক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় পরিবেশ সাংবাদিক হিসাবে আবির্ভূত হন।
তিনি ফোরাম অফ এনভায়রনমেন্টাল জার্নালিস্টস (এফইজেবি) এর সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশে ও বিদেশে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
আগামীকাল নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার আইচাপাড়া পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস) থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
কামরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এক শোক বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিক হিসেবে জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কামরুল ইসলাম চৌধুরীর অবদান দেশে ও বিদেশে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এছাড়াও তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পৃথক শোকবার্তায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ আজ সংবাদ সংস্থার সাবেক বার্তা সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক কামরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কামরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে বাসসের সকল সাংবাদিক ও কর্মচারীরাও শোক প্রকাশ করেছেন।
অপর এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক ইহসানুল করিম সাংবাদিক কামরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত আজ অপর এক শোক বার্তায় কামরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শাকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।