সাব্বির আলম বাবু (নিজস্ব প্রতিবেদক): , আপলোডের সময় : বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

ভোলার এক বাগানেই ১০ লাখ টাকার লিচু

মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভোলায় এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই এসব লিচু উঠবে বাজারে। চাষিরা লিচু পাড়ার জন্য শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবার অনেকে আগাম লিচু পেড়ে বিক্রিও শুরু করে করে দিয়েছেন। প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে ফলন ভালো হওয়ায় লিচু আবাদে অনেকের আগ্রহ বেড়েছে। কৃষি বিভাগও কৃষকদের সহযোগীতা করছে।

ভোলা সদরের পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের সবুজ বাংলা কুষি খামারে গিয়ে দেখা গেছে, গাছে গাছে ঝুলছে টসটসে লিচু। সবুজের ফাকে বাতাসে দোল খাচ্ছে পরিপক্ক ফলগুলো। আর এ দেখে চাষিদের মুখ থাকছে হাস্যজ্জল। আগে কখনও ভোলায় বাণিজ্যিকভাবে লিচুর আবাদ হয়নি। প্রথমবারের মতো লিচুর আবাদ করেছেন ভোলা সদরের বাপ্তা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা। আর তার সফলতা দেখে এখন অনেকইে ঝুকে পড়েছেন লিচু আবাদে।

খামার মালিক ও বাপ্তা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ফল অনেক ভালো হয়েছে। এবারে আমার বাগানে ৬৮টি গাছে লিচু ধরেছে। প্রতিটি গাছেই ভালো পরিমাণে লিচু আছে। আশা করছি আমি ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবো। তবে তাপদাহে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। বিশেষ করে লিচুর আকার কিছুটা ছোট হয়েছে। তারপরেও ফলন ভালো হওয়ায় খুশি আমরা। খামারের শ্রমিক মনির বলেন, কয়েকদিন মধ্যেই লিচু বাজারে তোলা হবে। আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে অর্ডার আসতে শুরু করেছে। ফল ভালো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফলনে বিপর্যয় নেই, তাই লিচু চাষে আগ্রহ বেড়েছে অনেকের। এবার বানিজ্যিকভাবে অনেকেই লিচুর বাগান করেছেন। প্রথম দিকে প্রচণ্ড তাপদাহে ফলন নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত থাকলেও বর্তমানে ফলনের অবস্থা খুবই ভালো। কিছুদিনের মধ্যে ফলন বাজারে তুলবেন চাষিরা। আর তাই শেষ মূহুর্তের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। অনেকে আবার ক্ষেত থেকেই আগাম লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে ভোলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নজুর আলম বলেন, এবার লিচুর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আমরাও তাদের লিচু আবাদে উৎসাহ দিচ্ছি। আগামিতে এর আবাদ আরও বাড়বে। উল্লেখ্য, এ বছর ভোলায় মুজাপ্পর পুরি, চায়না ও দেশীয় এ তিন জাতের লিচুর আবাদ হয়েছে। বিষমুক্ত এসব লিচু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলাতেও সরবরাহ করা হয়।