উপকূলীয় এলাকায় সাগরে ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন ভোলার জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার এ সময় জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ১৫ দিনেও সেই চাল পৌঁছায়নি সবার হাতে।
এতে অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়েছেন জেলেরা। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের। ধার-দেনা আর এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কেউ কেউ কষ্টে চলার চেষ্টা করলেও অনেকেই পড়েছেন বিপাকে। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, চাল বিতরণ শুরু হয়ে গেছে। জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন ভোলার লক্ষাধিক জেলে। যাদের মধ্যে ভোলার সাত উপজেলায় নিবন্ধন জেলে রয়েছেন প্রায় ৬৪ হাজার। গত ২০ মে থেকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলেকে গড়ে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও সেই চাল জুটেনি জেলেদের ভাগ্যে। এতে চরম সংকটে পড়েছেন জেলেরা। একদিকে আয়-রোজগার বন্ধ, অন্যদিকে ঋণের বোঝা আরও দীর্ঘ হচ্ছে জেলেদের। চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া ও সামরাজ ঘাটের একাধিক জেলে জানান, নিবন্ধিত জেলেদের জন্য চাল দেওয়ার কথা, কিন্তু ১৪ দিনেও আমরা চাল পাইনি। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন অতিবাহিত করছি। ধার-দেনা করে চলতে গিয়ে ঋণের বোঝা ভারী হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান জেলেরা।
কেউ আবার অভিযোগ করেন, বাংলাদেশি জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মানলেও ভারতীয় জেলেরা সেই নিয়ম মানছেন না। তারা সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে মাছ ধরছেন। জেলেদের দাবি অতি দ্রুত যেন জেলে পুনর্বাসনের চাল বিতরণ শুরু হয়। এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লা বলেন, খুব দ্রুই নিবন্ধিত সব জেলের কাছে বরাদ্দের চাল পৌঁছে দেওয়া হবে। কিছু কিছু এলাকায় ইতোমধ্যে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, ইলিশসহ ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২০ মে থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত।