সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্র হবে : তারেক রহমান কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মুরাদনগরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা কিশোরগঞ্জে ’দুর্বার প্রজন্মের’ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান

পটুয়াখালীতে ডেঙ্গুর সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণহীন

মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩
  • ৫৮৮৪ বার পঠিত
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে দিন দিন বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশী তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা চালালেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ডেঙ্গুর সংক্রমণ। চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গুর ধরনেও কিছু পরিবর্তন আসায় এর প্রকোপ বেশি, রোগীর ক্ষতির আশংকাও বেশি।
এছাড়াও পটুয়াখালী জেলার প্রতিবেশী জেলাগুলো থেকেও বিভিন্ন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা ভিড় করছে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা  বিশিষ্ট হাসপাতালে।
 বৃহস্পতিবার (২০শে জুলাই) হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় বর্তমানে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪৮জন। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে নতুন রোগীর সংখ্যা ২৭ জন। ছারপত্র পেয়েছে ১৭ জন। পুরাতন ভবনের সি-ব্লক এর ১৬৮ নং ওয়ার্ড ডেঙ্গু রোগীর জন্য নির্ধারণ করলেও রোগীর চাপে হাসপাতালের করিডোরে অতিরিক্ত ২১ টি সহ মোট ৪৩টি বেড বসানো হয়েছে। তবে নারী পুরুষ ও শিশু রোগীদের একই সঙ্গে পাশাপাশি বেডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এবছর জানুয়ারী থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর ভর্তির সংখ্যা ছিল শুন্য তবে মে -২০২৩  থেকে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৩৪ এবং এ পর্যন্ত মোট ছারপত্র পেয়েছেন ১৮৬ জন। আই সি ইউ তে ভর্তি হয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরছেন একজন। তবে ডেঙ্গুতে সংক্রামিত হয়ে পটুয়াখালীতে কোন মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল থেকে সরকারি ভাবে ডেঙ্গু রোগী প্রতি একটি বেড, ফ্রি খাবার, সব ধরনের ঔষধ, মশারি, মশার কয়েল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ৪ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, ৮ জন ইর্ন্টানি ডাক্তার সহ মোট ১২ জন ডাক্তার এবং তিনটি শিফটে মোট নয় জন সেবিকা নিয়মিত কাজ করে থাকেন।  হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ থেকে সরকারিভাবে ৫০ টাকার বিনিময়ে টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে  হাসপাতালের প্রতিটি বহি বিভাগ ,অন্ত বিভাগ ও জরুরি বিভাগে সচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও পৌরসভার সাথে সমন্বয় করে হাসপাতালের আশপাশের ঝোপঝাড় পরিস্কার ও জমে থাকা পানি পরিস্কার করা হচ্ছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..