রায়হান চৌধুরী (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

মুরাদনগরে চলাচলের রাস্তায় বৃষ্টির পর জলজট কে কেন্দ্র করে মারামারি, আহত ৮

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থাকা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে আটজন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধৈইর (পশ্চিম) ইউনিয়নের খৈয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, উপজেলার খৈয়াখালী গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে আমির হোসেন ও তার প্রবাসী দুই ছেলে সাদ্দাম হোসেন, রাব্বুল হাসান এবং একই পরিবারের সাজু মিয়ার ছেলে নাসির মিয়া, জাবেদ মিয়া, খায়ের মিয়া, হাসান মিয়া ও আনিস মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খৈয়াখালী গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে আমির হোসেন ও তার ভাই সাজু মিয়ার পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। যা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বহুবার বসে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে বসতবাড়ি থেকে সড়কে ওঠার রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে থাকাকে কেন্দ্র করে পাশ্ববর্তী মোসলেম মিয়ার দোকানে আমির হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও সাজু মিয়ার ছেলে হাসানের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে! বিষয়টি জানতে পেরে রাত ৮টার দিকে সাজু মিয়ার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আমির হোসেনের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এতে আমির হোসেন গুরুতর জখমের শিকার হলে তার প্রবাসী দুই ছেলে প্রতিবাদ করতে আসলে দুইপক্ষের মারামারির ঘটনায় ৮জন আহত হয়।

আহত প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন জানায়, প্রবাসে গিয়ে অর্থনৈতিকভাবে তাদের পরিবার স্বাবলম্বী হওয়ার বিষয়টি তার বাবার বড় ভাই সাজু মিয়ার পরিবারের সদস্যরা ভালো চোখে দেখতো না। সে কারণেই তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সামান্য বৃষ্টির পানিকে কেন্দ্র করে বাড়িতে হামলা চালায় ও লুটপাট করে। বসত বাড়ির ঘরগুলোকে এমন ভাবে কুপিয়েছে সেটি এখন থাকার উপযোগী নয়।

অপরদিকে আহত নাসির মিয়া জানায়, বসতবাড়ি থেকে সড়কে উঠতে যে রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয় সেটি আমির হোসেনের পরিবারের লাগেনা। তাই সেই রাস্তায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ও সেখানে মাটি ফেলে উচু করার জন্য আমির হোসেনের পরিবারের কাছে টাকা চাওয়ায় তাদের উপর হামলা চালায়।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে মারামারির বিষয়টি অবহিত হয়েছি। বর্তমানে সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।