বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩ , আজকের সময় : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বেতাগী সদর চেয়ারম্যানের পুত্রের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত

বেতাগীতে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের চাঁদা না দেওয়ার অপরাধে ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্রের হাতে এক শিক্ষক শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের গ্রেদলক্ষীপুরা গ্রামে মঙ্গলবার ( ১৫ আগষ্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রেদলক্ষীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহবারী শিক্ষক মো: আবু জাফর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয়ভাবে ও থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বেতাগী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: হুমায়ূন কবির খলিফার ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো: গোলাম শাহরিয়া মনি (৩৫) ও মৃত মঞ্জু খলিফার ছেলে মো: শাওন (৩৩) সকাল সারে এগারটার দিকে গ্রেদলক্ষীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঢুকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতের ৫০ হাজা টাকা চাঁদা দাবি করেন। দিতে অস্বীকার এবং এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে এলোপাথারী মারধর এবং চাঁদা না দিলে তিনি সহ তার পরিবারকে খুন করার হুমকি দেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক মো: আবু জাফরের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
গ্রেদলক্ষীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহবারী শিক্ষক মো: আবু জাফর বলেন,‘ আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান স্যারকে সাথে নিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এখন আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: মিজানুর রহমান খান জানান,‘ ভুক্তভোগী ও প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে লাঞ্চিত হওয়ার খবর শোনার পর জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি আমি অবহিত করেছি এবং তাঁকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান পুত্র গোলাম শাহরিয়া মনির সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বেতাগী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: হুমায়ূন কবির খলিফা বলেন,‘ আমার ছেলে ঐ প্রতিষ্ঠানের সহ-সভাপতি হিসেবে অনুপস্থিতে তাঁর স্বাক্ষর ছাড়া ঐ সহকারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন কালে কীভাবে বিদ্যালয়ের টাকা উত্তোলন করা হয়েছে তা জিজ্ঞেস করায় ঊভয়ের মধ্যে কথার কাটাকাটি ও মারধরের ঘটনাঘটে। সকলকে নিয়ে বিষয়টি যাতে দ্রুত মীমাংসা করা যায় সে জন্য আমি চেষ্টা করছি।’

বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আনোয়ার হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।