মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

মির্জাগঞ্জের মাধবখালী ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও জেলা প্রশাসক বরাবর অনাস্থার অভিযোগ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ১ নং মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে হাট বাজার ইজারা লব্দের ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ এবং ৮ জন ইউপি সদস্যের অনাস্থা প্রদানের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ পত্রে দেখা যায়, ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোল্লা মারুফ হোসেন গত ২৮/০৮/২৩ ইং তারিখ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৭/০৮/২৩ ইং তারিখ উপজেলা হতে হাট বাজার ইজারা লব্দের ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে পেয়ে সাধারন হিসাব নম্বর ৪৩১৭***১৩২০ সোনালী ব্যাংক সুবিদখালী শাখায় জমা দেয়। ঐ দিনই আরও দুইটি চেকের মাধ্যমে ৩ লক্ষ ও ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা উত্তোলন করেন চেয়ারম্যান। পরিষদের টাকা উত্তোলনের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে অর্থের অনুকূলে ইউনিয়ন পরিষদের সভার মাধ্যমে প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রেরন করে সেখান থেকে নির্বাহী অফিসার প্রকল্পের প্রাক্কলন (স্টিমিট) দিবেন এবং দরপত্র আহবান করে পরিষদ সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদান করে ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড কমিটি ও তদারকি কমিটি গঠন করবেন। দুই কমিটির চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে বিল উঠানো যাবে।এছাড়া কাজ না করে সরাসরি টাকা উত্তোলন বেআইনি। ইউপি চেয়ারম্যান সরকারি কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে সরাসরি পরিষদের টাকা উত্তোলন করেছেন।
উল্লেখ্য, অনিয়মের বিরুদ্ধে ৮ ইউপি সদস্য অনাস্থা প্রদান করেন। এ নিয়ে অত্র ইউনিয়নের সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও নানান গুঞ্জন চলছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে কপি এখনও হাতে পাইনি গতকাল ২৮’আগস্ট যেসকল অভিযোগ কপি রয়েছে তার মধ্যে যদি এধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইয়েমা হাসান বলেন, গত ২৮/০৮/২৩  টাকা আত্মসাৎ এর ব্যাপারে কোন অভিযোগ কপি পাননি। এর অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য
পরিষদের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ১ নং মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন যে, উক্ত টাকা পরিষদের সচিব সাহেব ভুলবশত উঠিয়েছিল সে টাকা আজকে আবার ব্যাংকে জমা করে দেয়া হয়েছে।