বরগুনার বেতাগীতে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে আটকা পরে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় অপর শ্রমিককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বেতাগী ফায়ার সার্ভিস। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দপুরে বেতাগী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের হাইস্কুল রোডে এই ঘটনা ঘটে।
মৃতব্যক্তি হলেন, পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লতিফ হাওলাদারের ছেলে মো: জামাল হাওলাদার (৩৬) আর গুরুতর অসুস্থ ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অমৃত দাসের ছেলে গৌতম চন্দ্র দাস(৩৫)। বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বেতাগী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে শিক্ষক নজরুল ইসলামের নির্মাণাধীন ভবনে দুই জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। কাজ করার এক পর্যায় দুপুর ১২টার দিকে ভবনের সিড়ির গোড়ায় সেপটি ট্যাংকির কাজ করার জন্য প্রথমে নির্মাণ শ্রমিক জামাল হাওলাদার ট্যাংকির ভেতরে ঢুকতেই বিষাক্ত গ্যাসে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। অপেক্ষার পর তাকে উদ্ধার করতে নামেন আরেক নির্মাণ শ্রমিক গৌতম চন্দ্র দাস। তিনিও সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভবনের মালিক শ্রমিকদের টের না পেয়ে ৯৯৯ দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে জামালকে অজ্ঞান অবস্থায় আর গৌতমকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জামাল হাওলাদারকে মৃত ঘোষনা করে এবং গুরুতর অসুস্থ গৌতম চন্দ্র দাসকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
বেতাগী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেষন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম রসুল জানান,৯৯৯
থেকে কল পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌছে ট্যাংকির ঢাকনা ছোট থাকায় তা কেটে বড় করে কৌশলে শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসাপতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর বলেন, হাসাপতালে আনার পূর্বেই জামাল হৃদ যন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান আর গুরুতর অসুস্থ গৌতমকে আমরা প্রাথমিক দিয়ে তাকে উন্নত চিৎকিসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, মৃত শ্রমিকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।