স্পোর্টস ডেস্ক: , আপলোডের সময় : বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নেইমারের রেকর্ড

অনেক আগেই ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক বনে যাওয়ার সুযোগ ছিল নেইমার জুনিয়রের সামনে। কিন্তু বারবার চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়ায় সেই কীর্তি গড়া হচ্ছিল না। অবশেষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দিয়ে বলিভিয়ার বিপক্ষে জাতীয় দলে ফিরেই কিংবদন্তি পেলেকে টপকে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছেন। এরপর আজ (বুধবার) পেরুর বিপক্ষেও গোল পেতে পারতেন তিনি। তবে দারুণ কিছু শটে জালের দেখা না পেলেও একটি রেকর্ডে নাম তুলেছেন নেইমার।

ম্যাচে অবশ্য আধিপত্য দেখালেও জয়সূচক গোল পেতে বেশ ভুগতে হয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে। ম্যাচের শেষ মিনিটে কর্নার থেকে নেইমারের নেওয়া শট হেড দিয়ে বল জালে পাঠান মার্কিনিয়োস। এই পিএসজি ডিফেন্ডারের একমাত্র গোলই সেলেসাওদের টানা দ্বিতীয় জয় এনে দিয়েছে। এর আগে আরও দুবার ব্রাজিল লক্ষ্যভেদ করলেও প্রতিবারই অফসাইডের বাধায় তা বাতিল হয়ে যায়।

এছাড়া প্রথমার্ধের শেষ (৪৪ মিনিট) দিকে নেইমারের জোরালো শট রুখে দেন পেরু গোলরক্ষক পেদ্রো গ্যালাসে। নেইমারকেও দারুণ কৌশলে এদিন খুব বেশি শট নিতে দেননি পেরু ডিফেন্ডাররা। তবে একমাত্র গোলে তার অ্যাসিস্টটি দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ। ট্রান্সফারমার্কেট জানিয়েছে, চিলি ফরোয়ার্ড অ্যালেক্সিস সানচেজের ‘অ্যাসিস্ট’সংখ্যা ১৭টি। যা টপকে নেইমারের অ্যাসিস্ট ১৮টি।

ফুটবলের পরিসংখ্যানভিত্তিক টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘অপটা হোয়াও’ জানিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অভিষেকের পর এ পর্যন্ত গোলে নেইমারের অবদানই সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ, ২০১৫ সালে নেইমারের অভিষেকের পর এই প্রতিযোগিতায় গোল করা ও করানো মিলিয়ে তার চেয়ে বেশি অবদান আর কেউ রাখতে পারেননি। সব মিলিয়ে ৩৪ গোলে অবদান রেখেছেন নেইমার—গোল করিয়েছেন ১৬টি, বাকি ১৮টি গোল নিজে করেছেন।

গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে ২০টি গোলে অবদান নিয়ে তালিকায় দুইয়ে রয়েছেন সানচেজ। তিনে রয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। উরুগুইয়ান তারকার গোল ও অ্যাসিস্ট সংখ্যাও ২০টি। আর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসি গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে মোট ১৭টি নিয়ে তালিকার চারে রয়েছেন।

এই ম্যাচ জয়ে শিষ্যদের ওপর সন্তুষ্ট কোচ ফার্নান্দো দিনিজ। তবে রিচার্লিসনের দেওয়া গোলটি বাতিলে ভিএআরের পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় লাগায় তিনি ক্ষুব্ধ। নেইমারের অবদান নিয়ে দিনিজ বলছেন, ‘আমার মনে হয় দীর্ঘদিন পর আমরা নেইমারের বিপক্ষে প্রতিপক্ষের ফাউল করার প্রবণতা কম দেখেছি। তবে এটা মেনে নিচ্ছি যে, সে আজ কিছু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। আমরা বাতাসে ভেসে আসা বল নিয়েও অনুশীলন করি। বাতাসে ভেসে আসা বল ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। আজ আমাদের দুটি গোল বাতিল হলেও বাতাসে ভেসে আসা বলে কিন্তু সুযোগ কাজে লাগিয়েছি।’