নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

বিবিএনজে’তে স্বাক্ষর করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিক মাছ ধরা এবং অন্যান্য মানবিক কর্মকা-ের কারণে ভঙ্গুর সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে বিশ্বের মহাসাগর এবং নদীগুলোকে রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
জেনারেল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিং এর ট্রিটি ইভেন্ট এলাকার  গ্রাউন্ড ফ্লোরে বুধবার এখানে ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অফ দ্য সি’র অধীনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮ তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততা সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডক্টর এ কে আবদুল মোমেন এ কথা জানান।
চুক্তিতে সাধারণ ঐতিহ্য হিসাবে বর্ণিত জেনেটিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন,তিনি সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান এবং নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী লিজে শ্রেইনেমাচারের সাথে কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগদানের পাশাপাশি জলবায়ু গতিশীলতার ওপর প্রাতঃরাশ শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮ তম এশিয়া সহযোগিতা সংলাপসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন।
মোমেন বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ বাকি দেশগুলোর জন্য রোল মডেল হয়ে উঠেছে।”
তিনি বলেন, ধনী দেশগুলো মূলত কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী । এক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবদান মাত্র ০.৪৭ শতাংশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধনী দেশগুলোকে প্রতি বছর জলবায়ু তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে না। তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা উচিত।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জলবায়ু তহবিল থেকে নামমাত্র অর্থ পেয়েছে ।
তিনি বলেন, “প্রতিশ্রুতি মেনে চলার জন্য ধনী দেশগুলোর রাজনৈতিক অঙ্গীকার আবশ্যক।”
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদও উপস্থিত ছিলেন।