বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ডিএসইসি’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাইজিং বিডির আরিফ আহমেদ কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের র‍্যালি অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হাওরে কৃষকদের মাঝে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শরবত ও ঠান্ডা পানি বিতরণ ডিএসইসি’র সভাপতি অনিক সম্পাদক জাওহার ইকবাল মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

এবার ঘোড়ায় আগমন দেবীর, হরিরামপুরে ৬৮ মন্ডপে চলছে প্রস্তুতি

দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৮৬৬ বার পঠিত

দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর(মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:

বাঙালি হিন্দুদের প্রাণের উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। সারা বছরই যার অপেক্ষা লেগে থাকে। দুর্গাপূজার সময় যত এগিয়ে আসে, তত বাড়ে উন্মাদনা। এরপর পূজার কয়েকটি দিন আনন্দ ও আবেগে ভাসে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। যে যার সাধ্যমতো নতুন পোশাকে সেজে আবাহন জানান দেবী দুর্গার।

হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে হিমালয়ের কন্যা পার্বতী প্রতি বছরে একবার তিন দিনের জন্য নিজের বাবা-মায়ের কাছে আসেন। তাঁর সঙ্গে থাকেন চার সন্তান লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ। দেবী দুর্গা এই সময় যেন হয়ে ওঠেন বাঙালির ঘরের মেয়ে। এ সময় দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানাতে সেজে ওঠে ধনীর অট্টালিকা থেকে গরীবের কুঁড়েঘর।

এবার দেবী দুর্গা আসছেন “ঘোটক” অর্থাৎ ঘোড়ায়। যার ফল হবে ছত্রভঙ্গ। অর্থাৎ শাস্ত্র বলছে, এর জেরে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সামরিক অস্থিরতা বেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়, মা দুর্গা ফিরবেনও “ঘোটক” বা ঘোড়াতে চড়েই।

মূলত বাংলা সনের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত চলে এই দুর্গাপূজা। যা এবছর ২০ অক্টোবর হতে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত পালিত হবে। মহাষষ্ঠী পালিত হবে ২০ অক্টোবর শুক্রবার। মহাঅষ্টমী ২২ অক্টোবর রবিবার। মহানবমী পালিত হবে ২৩ অক্টোবর সোমবার। বিজয়া দশমী পালিত হবে ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার।

আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে হরিরামপুরেও তৈরি হয়েছে সাজ সাজ রব। শারদীয় দুর্গোৎসব কে সাদরে গ্রহন করে নিতে প্রস্তুত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়ে গেছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। সরজমিনে দেখা যায় উপজেলার প্রতিটি এলাকায় মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে।

প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে মূর্তিতে রং তুলির আঁচড়ের কাজ চলবে। অন্য দিকে সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি ও ডেকারেশনসহ অন্যান্য কাজগুলি ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পিয়াস চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এদেশে সকল ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে। এ বছর উপজেলার ৬৮ টি মন্ডপে ব্যাপক ভাবেই দেবী দুর্গার সুন্দর রূপ দিতে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। আশা করি এ বছর ভালো ভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য জানান, সকল মন্দিরে যেন উৎসব মূখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারে সেজন্য আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। প্রত্যেকটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা হবে। যেহেতু সবগুলো মন্দিরে সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকবে সেহেতু যদি কোন দুষ্কৃতিকারীরা কোন কিছু করার চেষ্টাও করে সেক্ষেত্রে কেউ কোন মাফ পাবেনা। তবে আমি আশা করি কোন রকমের কোন ঝামেলা ছাড়াই হিন্দু ধর্মাবলম্বী যারা আছেন তারা নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারবেন। পুজা উপলক্ষে থানা পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি আছে।

##দিপংকর মন্ডল
০১৭৫২৭৭৪৬৫৪

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..