মাসুদ রানা জুমুর (বিশেষ প্রতিবেদক): , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

দুদককে ম্যানেজ করে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি মিশনে বিতর্কিত ডিজি এমদাদুল হক তালুকদার

প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের বিতর্কিত ডিজির নতুন ফন্দিফিকির নিয়ে আবারো আলোচনায়। তিনি গ্রেড-ওয়ান পদ পেতে দুদককে আগেই ম্যানেজ করে ক্লিয়ারেন্স পাবার নতুন মিশনে নেমেছেন।

অথচ সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সম-বিধি-১/ এস-১১/৯২-৩০(১৫০) স্মারক মতে, সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী তিনি ২ মাসের অধিক চলতি দায়িত্বে থাকতে পারেন না। অথচ তিনি ফন্দি এঁটে আর দরবেশ বাবাদের আর্শীবাদে প্রায় ১০ মাস যাবত চলতি দায়িত্বে বহাল রয়েছেন।

স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কর্তৃক দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে প্রেরিত ডিও পত্র মতে, অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের সাবেক পিডি ও ডিজি (চলতি দায়িত্ব) ডা. এমদাদুল হক তালুকদার একজন অযোগ্য, অদক্ষ ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী ফজলে রাব্বী চৌধুরীর ভাগ্নী জামাই হয়েও গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ার সুবাধে নিজেকে আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবকে ম্যানেজ করে ডিজির পদটি বাগিয়ে নিয়েছেন। অথচ ছাত্র জীবনে জাতীয় ছাত্র সমাজের সাথে যুক্ত থাকার পরেও তিনি এখন পাক্কা আওয়ামীলীগার। এর আগে ২ বছরের অধিক প্রকল্পের পিডির দায়িত্ব পালন করলেও অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে প্রকল্পের তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এটি একটি পকেট প্রকল্প । প্রয়োজন ছাড়াই ৫টি ক্যাটাগরিতে ২০ কোটি ৭৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার দরপত্রের কার্যাদেশ দিয়ে এবং অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের অবকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্প হলেও কোনো প্রকার অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়াই মালামাল ক্রয় করে কোটি কোটি টাকা আত্বসাত করেও বহাল তবিয়তে।

তিনি নিজেই দূর্নীতিবাজ তাই নয়, তার স্ত্রী মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে কর্মরত থাকাকালীন খোদ কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও টিএ বিল আত্বসাত করে বিতর্কিত হয়েছেন। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণী সম্পদ-১ অধিশাখার যুগ্ন সচিব শাহীনা ফেরদৌসীর স্বাক্ষরিত দূর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের পত্র মতে, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ০৩/০৯/২০২৩ ইং তারিখের ৩,০১,০০০০,১০১,১২,৮৭৮,১৯-২০৩৬ নং স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালক গ্রেড-১ পদে পদন্নোতি প্রস্তাব বিবেচনার নিমিত্তে বিসিএস ক্যাডারের সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত ৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি সংক্রান্ত মামলা চলমান ও তদান্তাধীন আছে কিনা তার তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধের পত্র নিয়েও অধিদপ্তরের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

যেই কর্মকর্তা প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থ লুটপাট করে পকেট প্রকল্প বানিয়ে কোটি টাকার বিনিময়ে ডিজির পদ বাগিয়ে নিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন। তিনি কিভাবে গ্রেড-১ পদের স্বপ্ন দেখেন। হয়তো মন্ত্রী ও সচিবকে ম্যানেজ করেই নতুন মিশন সাকসেস করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এখানকার অধিকাংশ কর্মকর্তাদের দাবি, ডিজির বিরুদ্ধে দুদকে আনিত অভিযোগ এবং সরকারি নিয়ম বহির্ভূত ১০ মাস ডিজি পদে চলতি দায়িত্বে বহাল থাকার বিষয়টি তদন্ত করে আগে ব্যবস্থা নিতে হবে। তারপর পদোন্নতির মিশন। এব্যাপারে অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবি দুদক কর্তৃক অভিযোগ তদন্ত ব্যতিরেকে এই বিষয়ে যেন ছাড়পত্র প্রদান করা না হয়।