নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪

মোহাম্মদপুরে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৬ জন আটক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
র‌্যাব জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক দলসমূহের বিভিন্ন কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে কতিপয় দুস্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এলিট ফোর্স র‌্যাব-২ সিনিয়র এএসপি ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলো মো. জাবেদ (৩২), মুন্না (২৬), মো. তারেক (২৭), মো. রাব্বি (২৬), ওসমান গনি (১৮) ও মো. হারুন-অর-রশিদ (৪২)।
তিনি জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মাদারীপুর ও কুমিল্লা ও  বরিশাল জেলায় তাদের বাড়ি। ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুর আল্লাহ্ করিম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তারা ভাসমান হিসেবে বসবাস করে আসছিল।
র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুস্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীরা রাজধানীর কাকরাইল, পল্টন, ফকিরাপুল ও মতিঝিলসহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের উপর নৃশংস কায়দায় হামলা ও আক্রমণ চালায়। তারা গণপরিবহন, ব্যক্তিগত পরিবহন ও সরকারি বিভিন্ন যানবাহনে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, আক্রমণ ও ভাংচুরসহ বিভিন্নভাবে হামলা করে সাধারণ মানুষ ও দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে জখম করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। ওই ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে হত্যা করে দুস্কৃতকারীরা। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডাকা অবরোধের নামে গণপরিবহন, ব্যক্তিগত পরিবহন ও সরকারি বিভিন্ন যানবাহনে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ জনগনের যান-মালের ক্ষতি সাধন করে।
র‌্যাব সূত্র বলছে, গত ২৯ অক্টোবর মোহাম্মদপুর থানার বেড়িবাঁধ তিন রাস্তা মোড় অবরোধ করে যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটায় এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ বিভিন্নভাবে হামলা করে সাধারণ মানুষ ও দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদসদের জখম করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। ওই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দু’টি মামলা দায়ের করা  হয়। গ্রেফতারকৃতরা এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।