দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

পেঁয়াজক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা

মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পেঁয়াজের ভালো ফলনের আশা করছেন তারা। তবে, ভালো দাম পাওয়া নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা।

উপজেলা কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার মেট্রিক টন। তবে, এখনও আবাদ চলমান থাকায় আবাদ ও ফলনের পরিমাণ আরও বাড়বে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কেউ জমি প্রস্তুত করছেন, কেউ জমিতে পেঁয়াজ রোপণ করছেন। আবার কেউ কেউ জমিতে নিড়ানি, কিটনাশক ও পানি দিচ্ছেন।

কৃষকরা বলছেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। ওঠার পরপরই দ্রুত বিক্রি করে দিতে হয়। তাই সেই সময়ে বাজার দর গুরুত্বপূর্ণ কৃষকদের কাছে। বর্তমানে শ্রমিক, সার, গুটি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভালো দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পারলে লোকসান হবে। আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই উঠতে শুরু করতে এসব পেঁয়াজ।

ঝিটকা সরদারপাড়া গ্রামের কৃষক মো. লিটন জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৩ বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। সবমিলিয়ে তিন বিঘা জমিতে এক লাখ টাকার বেশি খরচ হবে। ফলন ভালো হলে প্রায় ২০০ মণ পেঁয়াজ পাবেন বলে আশা করছেন।

বাল্লা ইউনিয়নের বৈকা গ্রামের কৃষক ফারুক বলেন, এক বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ করেছি। সবমিলিয়ে ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে। ভালো ফলন হলে ৫০-৬০ মণ পেঁয়াজ হবে। বাজার দর ভালো পেলে কিছুটা লাভ থাকবে। নাহলে লোকসান হবে।

ঝিটকা মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক মেহের আলী নিজের ৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ রোপণ শেষে এখন পানি দিচ্ছেন। তিনি বলেন, শ্রমিক, সার আর সেচের জন্য ভালোই খরচ হবে। তবে, ফলন ও দাম ভালো পেলে লাভবান হতে পারবো।

কৃষি দপ্তর জানায়, হরিরামপুরের মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষে খুবই উপযোগী। উপজেলায় মোট তিন ধরনের পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে হালি পেঁয়াজ, মুড়ি কাটা পেঁয়াজ এবং দানা পেঁয়াজ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোহাম্মাদ সোহেল জানান, উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলন ভালো হলে ১২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হতে পারে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় রপ্তানি করাও সম্ভব হবে।