দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন দলীয় এবং চারজন স্বতন্ত্র। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, এনপিপি প্রার্থী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে) প্রার্থী ওমর ফারুক এবং চার স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মো. গোলাম কবির ভূঞা, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ মাহফুজুল হক হায়দার, মেজর (অব.) মো. নাসিমুল হক ও মো. রুবেল মিয়া।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনে বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নৌকার প্রার্থী দেয়নি। এবারও অনেক নাটকীয়তার পর নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদকে নৌকার প্রার্থী দেওয়ার পর তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর অন্যতম কারণ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু।
তাড়াইল উপজেলার সচেতন মহল বলছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ তার মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করায় এবং বিএনপি মাঠে না থাকায় এবারও নিশ্চিত ভাবে বলা যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নুই হচ্ছেন এ আসনের সংসদ সদস্য। তারা আরো বলছেন, চুন্নুর রাজনৈতিক কৌশলের কারণে তাড়াইল ও করিমগঞ্জে আওয়ামী লীগের কমিটির দেখা নেই দীর্ঘদিন ধরে। এ কারণে দলে নেই ঐক্য। কেউ কাউকে মানছেন না।
কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও তাড়াইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া শাহীন বলেন, কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনে বেশ ফুরফুরে জাপা। এটি মুজিবুল হক চুন্নুর দুর্গ। ভবিষ্যতেও জাতীয় পার্টি স্বমহিমায় থাকবে। এরশাদের দেখানো পথেই চলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু। দলটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, এবারও ভোটের মাঠে তাঁর ধারেকাছে কেউ আসতে পারবেন না।