জিয়াউর রহমান (নিজস্ব প্রতিনিধি): , আপলোডের সময় : শনিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪ , আজকের সময় : শনিবার, ১১ মে, ২০২৪

মির্জাগঞ্জে ডান্ডাবেড়ি নিয়েই বাবার শেষ বিদায় জানালো ছাত্রদল নেতা

বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করে ডান্ডাবেড়ি নিয়ে বাবার জানাজায় উপস্থিত হন এক ছাত্রদল নেতা।

ঘটনাটি পটুয়াখালীর মিজার্গঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের। ওই ছাত্রদল নেতার নাম মো. নাজমুল মৃধা(২৬), তিনি মিজার্গঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক। সম্প্রতি একটি চলমান বিষ্ফোরক মামলায় তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

শনিবার দুপুরে প্যারোলে মুক্তির পর কড়া নিরাপত্তার মাঝে ডান্ডাবেড়ি নিয়েই বাবার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন ছাত্রদল নেতা নাজমুল। বাবার লাশ দাফনের আগেই তাকে পূণরায় জেলা হাজতে পাঠানো হয়। এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়লে তুমুল নিন্দার ঝড় ওঠে এলাকাজুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদল নেতা নাজমুলের বাবা মোতালেব হোসেন মৃধা(৬৭) নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ছাত্রদল নেতা নাজমুলের বাবার জানাজার নির্ধারিত সময় বিকাল ৫ টায় উপজেলার সুবিদখালী সরকারি র.ই পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে থাকলেও, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ওই সময়ের আগেই নাজমুলকে আলাদাভাবে নিজ বাড়িতে ছোট্ট পরিসরে আলাদাভাবে জানাজায় অংশগ্রহণ করানো হয়। এরপর বাবার লাশ দাফনের আগেই তাকে পূণরায় জেল হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুরোটা সময় ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধা। ওই ছাত্রদল নেতার বাবা মোতালেব মৃধা তিনিও বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন বেশ কয়েক বছর। গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে নিজ বাসার সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধাকে। পরে একটি বিষ্ফোরক মামলার আসামী করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বাবার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর শনিবার প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন নাজমুল মৃধা। পরিবারের সদস্যরা আরো বলেন, নাজমুল এমন কোনো মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী না যে তাকে বাবার জানাজা পড়াকালীন ডান্ডবেড়ি পড়িয়ে রাখা হবে। এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আহসানুল্লাহ পিন্টু সহ-সভাপতি গোলাম ফারুক মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন ফরাজী,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মুন্সী, সাবেক সভাপতি আশ্রাফ আলী হাওলাদার, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. জাকারিয়া এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা—কর্মীরা।

মির্জাগঞ্জ থানার (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘৫ ঘন্টার জন্য শর্ত সাপেক্ষে ছাত্রদল নেতাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। নিরাপত্তার স্বার্থে তার পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলে দেয়া হয়নি।