নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

ডা.মুরাদ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন: মির্জা ফখরুল

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান একসময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানালেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য দেন।

ফখরুল যখন এ কথা বলেন, তখন রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিন দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন তিনি বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের দ্বিমত পোষণ করেন। যুবদলের ওই নেতা বলেন, ‘মুরাদ কখনো ছাত্রদল করেননি’। একপর্যায়ে ফখরুলের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এই যুবদল নেতা। এসময় মির্জা ফখরুল তাকে থামিয়ে বলেন, ‘ইউ ডোন্ট নো। তুমি বাজে কথা বলবে না। তুমি জানো না। চুপ করো।’

ওই যুবদল নেতাকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘এই দাঁড়াও, বাজে কথা বলবা না। এই ছেলে তুমি কে। তুমি এদিক দিয়ে বেরিয়ে আসো। তুমি জানো না, সেজন্য এ কথা বলছো। কিন্তু আমি জানি বলে বলেছি। এই বেয়াদব। চুপ…চুপ বেয়াদব। তুমি এদিকে আসো।’

এসময় মঞ্চে থাকা নেতাদের দিকে তাকিয়ে মির্জা ফখরুল জিজ্ঞেস করেন, ‘কে এটা? হো ইজ দিজ বয়? তারপরও যুবদল নেতা শাহিন পুনরায় মহাসচিবের সঙ্গে তর্ক শুরু করলে পুরো মিলনায়তনে কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। এসময় মহাসচিব তাকে চুপ করতে বলেন এবং নিচে নেমে মঞ্চে আসার জন্য বলেন। তখন মিলনায়তনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।

এই সময়ে মঞ্চে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ, দক্ষিণের আবদুস সালাম হাত উঠিয়ে তাকে চুপ করতে বলেন। বিএনপি মহাসচিব এ পর্যায়ে সবাইকে শান্ত হয়ে বসার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের যে, এক সময় সে (প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান) ছাত্রদল করেছেন। পরে সে ছাত্রলীগের নেতা হয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এটা দুর্ভাগ্য আমাদের এই রকম একটা ছেলে ওই সময় ছাত্রদলে ছিল। সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রচার সম্পাদক ছিল। ধিক্কার দেই আমি তাকে।’

ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নব্বইয়ের সাবেক ছাত্র নেতার মধ্যে আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিম উদ্দিন আলম, জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন মনি, খন্দকার লুৎফুর রহমান, আসাদুর রহমান খান, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দলের মুস্তাফিজুল করীম মজমুদার, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।