বরগুনার জেলার বেতাগীতে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে জমির কচি ধানের শীষ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। কোন কোন জমির ধান গাছ একেবারে মাটিতে মিশে গেছে।
পাশাপাশি রবিশস্যে ও বীজতলা বিনষ্ট হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন উপকূলীয় বিষখালী নদীর পাড়ের চাষীরা। অসময়ের বৃষ্টি এখন তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে চরম সংকটে পড়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, একটি পৌরসভাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে চলতি আমন মৌসুমে ১০ হাজার ৬ ‘শ ৯২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়। এর ৭ হাজার ৫ ‘শ হেক্টর জমির ধান গাছ মাটিতে মিশে গিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে ক্ষতির আশঙ্কার পরিমান আরও বেশি। নিচু এলাকার সব রোপা আমন ধানের সাথে সবজী খেতেরও ক্ষতি হয়েছে। ফলে ধান ও রবিশস্যে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সেখান থেকে ফসল গড়ে তোলার কোনো সম্ভাবনা নেই।
উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ একাধিক কৃষক জানান, ধার-দেনা আর ঋণ করে আবাদ করা এবারে ধানের ফলন দেখে নতুন আশায় বুক বেঁধেছিল তারা। কিন্ত অসময়ের এই ঘূর্ণিঝড় খেতের ধান মাটিতে নুয়ে প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়েছে। ফসলের এ বেহালঅবস্থায় অনেক কৃষক কান্নাকাটি করছে। কীভাবে ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে তা ভেবেই এখন দিশেহারা তারা।
এখানকার প্রান্তিক কৃষকরা দাবি করে বলেন, এ জন্য সরকারি প্রণোদনা আর আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন। তা না পেলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৃষক মো: শাহজাহান মিয়া জানান, জমির ধানের খেতে কচি ধানের শীষে সদ্য কেবল দুধ বের হয়েছিল। কিন্ত তা মাটিতে নুয়ে পড়েছে। ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে উঠার নয়।
বেতাগী উপজেলা কৃষি অফিসার মো: ইকবাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে জমির কচি ধানের শীষ মাটিতে নুয়ে পড়ায় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখনই ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা যাছেনা।