মির্জাগঞ্জে বিএনপির সাজা প্রাপ্ত আসামীদের সংবর্ধনা ও ইফতার আয়োজনে দশ হাজার লোকের গণ জমায়েতে নাশকতার আশঙ্কায় জেলা পুলিশ সুপার বরাবর শ্রমিক লীগের লিখিত অভিযোগসহ অনুমতি না দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়।
আগামী ১লা এপ্রিল (সোমবার) মির্জাগঞ্জে বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরী সহ কিছু সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের আগমন ও তাদের সংবর্ধনা কে কেন্দ্র করে “আশরাফ গ্রিন পার্কে” উপজেলা বি.এন পির ইফতার পার্টির আয়োজনের ঘোষণা দেয়। এতে প্রায় দশ সহস্রাধিক মানুষ গণজমায়েত হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
ধর্মীয় আয়োজনে নাশকতার আশঙ্কায় উপজেলা শ্রমিক লীগের ৩০শে মার্চের লিখিত আবেদনে জানা যায়, আগামী ০১-০৪-২০১৪ ইং তারিখ রোজ সোমবার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় আশরাফ গ্রিন পার্কে বি.এন পির ইফতার পার্টির লেবাছে নাশকতার মামালায় সাজা প্রাপ্ত আসামী জনাব আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ বি,এন, পির বিভিন্ন মামলার আসামীদের সম্বর্ধনা দেওয়া হবে। নাশকতার মামলায় একজন সাজা প্রাপ্ত আসামী ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশবিরোধী বিভিন্ন মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রকাশ্যে খোলা মাঠে কি ভাবে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়, যেটা দেশদ্রোহির মধ্যে সামিল হয়, সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ হাজার মানুষের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাঠলতলী থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার ৩০০/৪০০ মটর সাইকেল মহড়া দিয়ে অনুষ্ঠান স্থানে প্রবেশ করবেন। এত লোকের সমাগমে পবিত্র মাহে রমজানের ধর্মীয় অনুভুতি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের এরকম অনুষ্ঠানে নাশকতা ও আইন শৃঙ্খলা অবনতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অতএব, মহোদয়ের নিকট আমাদের আকুল আবেদন যাহাতে, ইফতার পার্টির নামে কোন রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম করিতে না পারে তাহার সু-বিবেচনা করার মর্জি হয়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন হোসেন নান্নু বলেন, এখানে অন্তত ৫০০০ লোকের আয়োজন করা হবে তবে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কারো অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন আছে কিনা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে আয়োজক সাধারণ সম্পাদক ও আশরাফ আলী সাহেব ভালো বলতে পারবেন।
মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা বিএনপির ১লা এপ্রিল আয়োজনের কোন অনুমতি নিয়েছে কিনা জানা নেই। আয়োজনের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।