মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক মারধরের প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় বরিশাল-বরগুনা মহাসড়কের সুবিদখালী বাজার ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও  এলাকাবাসী। মানববন্ধনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার ।

ভুক্তভোগী মোসাম্মৎ আখেরুন্নেসা তিনি পূর্ব সুবিদখালীর আনসার মুন্সির স্ত্রী ও তার নাতি বউ, উভয়ের থানা মির্জাগঞ্জ, জেলা: পটুয়াখালী।

অভিযুক্ত মোঃ হারুন শিকদার, পিতা  মৃত: গোলাম রহমান সিকদার , গ্রাম: পূর্ব সুবিদখালী ,থানা মির্জাগঞ্জ জেলা: পটুয়াখালী। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

অভিযোগকারী মোঃ রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, বিবাদী ১ নং সাক্ষী আমার দাদি মোসাম্মৎ আখেরুন্নেসা এর চাচাতো ভাই হয়। বিবাদী আমার দাদীর পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে জোরপূর্বক ভোগ দখল করিতেছে। গত ২৪-০৪-২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ছয় ঘটিকার সময় বিবাদী ৪ নং সাক্ষীর দোকানের সামনে রাস্তার উপর দেখিয়া ১ নং সাক্ষী আমার দাদি ও আমার স্ত্রী সহ তার কাছে আসিয়া বিবাদীর  নিকট তাহার পৈতৃক সম্পত্তি বুঝিয়া দিতে বলিলে উক্ত বিবাদী উত্তেজিত হইয়া আমার দাদিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ এলোপাতাড়ি কিল ,ঘুষি ,মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে  জখম করে ও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ,তখন আমার স্ত্রী আমার দাদিকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে উক্ত বিবাদী আমার স্ত্রীকেও এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে মেরে জখম করে, বর্তমানে আমার দাদি মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা এ ধরনের নেক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশে কর্মরত মো: হারুন সিকদারের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্য ও ভিত্তিহীন। তবে শনিবার এ বিষয় নিয়ে কাগজপত্র দেখে শালিসি হবে শালিসিতে যদি আমার কাছে জমি প্রমানিত হয় তাহলে আমি জমি দিয়ে দিব।

মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন তাদের সাথে দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলছে, দুই পক্ষই আমার কাছে এসেছে শনিবার সালিশি বৈঠক হবে বলে আমাকে জানিয়েছে।