রিপোর্টারের নাম , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সম্পর্ক রাখলেই ব্যবস্থা নেবে আ.লীগ

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কোনো নেতাকর্মী সম্পর্ক রাখলে ব্যবস্থা তদন্ত সাপেক্ষে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে মহানগর কমিটির বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।

জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর এ প্রথম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ওসমান আলীকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

সভায় গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডলসহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন। .

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কারো কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই, তার সঙ্গে কেউ কোনো সম্পর্ক রাখতে পারবে না। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, বর্ধিত সভায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে দলীয় কোনো কোনো নেতাকর্মীর যোগাযোগ রাখছে এবং বিগত সময়ে দলের সঙ্গে কোন নেতার কী ভূমিকা ছিল সে বিষয়ে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ কমিটি দুই ভাগে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। একটি হলো জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করার পর বহিষ্কারের আগ পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের কার কী ভূমিকা ছিল- সেটি নির্ধারণ করবে। অপরটি জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কারের পর তার সঙ্গে সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীর যোগাযোগ আছে কিনা বা কার কী ভূমিকা ছিল সেটি অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।

তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেওয়ার পর পরবর্তী সভায় তা নিয়ে আলোচনা করে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।