জিয়াউর রহমান মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪ , আজকের সময় : রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মির্জাগঞ্জের ইউ,পি সচিব পরকীয়া প্রেমিকার হত্যাকাণ্ডে পুলিশ হেফাজতে

জিয়াউর রহমান মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকায় পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে মূমর্ষ অবস্থায় এক নারীকে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত বলে এম্বুলেন্স যোগে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয় ।হাসপাতালে আনার কিছুখন পরেই মৃত্যু হয় ঐ নারীর।

এসময়ে হাসপাতালে নিহত নারীকে নিয়ে আসা ব্যাক্তিকে উপস্থিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অনন্য রোগির স্বজনেরা এবং ‍উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিভিন্ন প্রকার তথ্য দিতে শুরু করেন ঐ ব্যাক্তি, বিষয়টি সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয় । গনমাধ্যমের বিভিন্ন প্রশ্নের ফলে এক সময় জানা যায় নিহত নারীর পরিচয় । জানা যায়,নিহত ঐ নারীর নাম মোসাঃ শেফা আক্তার বয়স আনুমানিক (২০) বছর তিনি পটুয়াখালীর গাজী মনিবুর রহমান নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী । লেখাপড়ার জন্য পটুয়াখালী শহরের একটি ম্যাচ বাসায় কয়েকজন বান্ধবীরা মিলে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। এবং নিহত মোসাঃ শেফা আক্তারকে নিয়ে আসা ব্যাক্তি মোঃ হাচনাত টিটু তারা দুজনে প্রেমিক প্রেমিকা ।

প্রাপ্য তথ্য ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তবর্ত ব্যাক্তিরা গাজী মনিবুর রহমান নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসলে তারা নিহত নারীকে তাদের সহপাঠি বলে সনাক্ত করেন এবং নিহত শেফা আক্তারের পরিবারকে খবর দেন ।

শেফা আক্তারের সহপাঠি ও ম্যাচ বাসার বান্দবীদের কাছ থেকে জানা য়ায়, শেফা গতকাল সন্ধ্যা ৬ টায় অন্য এক জন বান্ধবীর সাথে দেখা করতে যাচ্ছে কিছুক্ষণ পরে ফিরে আসবো বলে বেরিয়ে যায়। মূলত নিহত শেফা আক্তার তার প্রেমিক বর্তমানে মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ হাচনাত টিটুর সাথে মোটরসাইকেলে শাখারিয়া বাস স্ট্যান্ডের দিকে ঘুরতে জান। পরে রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায় মূমর্স আবস্থায় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয় শেফা আক্তারকে ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রেমিক মোঃ হাচনাত টিটু পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলা পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড নলদোয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকার মৃত হাবিব শিকদারের ছেলে । টিটু বর্তমানে মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদে নিয়োজিত আছেন। এবং তিনি বিবাহিত বর্তমানে একটি সন্তানের পিতা।

সার্বিক বিষয়ে রাতেই পুলিশ প্রেমিক টিটুকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা টিটু কে থানা হেফাজতে নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো, পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।