কাঁঠালিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি বাদল হাওলাদার জানান, মমতাজ বেগম অসহায় ও গরীব। ঘরটি ভেঙ্গে পড়ায় অনেক কষ্টে ছাপড়ার মধ্যে গাঁ ঠাসা দিয়ে থাকেন। সরকারিভাবে একটি ঢেউটিন পেলে অনেক উপকার হতো পরিবারটি। তবে শুনেছি ঢেউটিনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন তিনি-ঘুর্ণিঝড় রিমালের কারনে ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি হয়েছে । পানি প্রবেশ করে তার ঘরের বেতারে প্লাবিত হয়েছে। মমতাজ বেগম ‘ সাংবাদিকদের বলেন, ডুবে গেছে ফসলি জমি, সবজির বাগান খেত, রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়ি ‘ভেসে গেছে চাষের মাছ। ঘুর্ণিঝড় রিমালের নিমেশেই শেষ করে দিয়ে গেল। দক্ষিন আউরা গ্রামের বন্যার কারনে পানি বন্ধী রয়েছে মমতাজ বেগম-বলেন আমার প্রচুর ফসল, সবজির খেত নানান ধরনের শাক শবজি সহ বিভিন্ন ফসল ঘুর্ণিঝড় রিমাল নষ্ট করে দিয়েছে। এবং ঘরের অবস্থা ভালো না পানিতে পিরা দুইয়ে গেছে টিন বাতাসে নিয়ে গেছে, হাস মুরগী মারা গেছে পানিতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পরেছেন
কাঠালিয়া (ঝালকাঠী) প্রতিনিধি: ,
আপলোডের সময় :
বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪ ,
আজকের সময় :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রিমাল’র ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে কাঠালিয়ায় মমতাজ বেগম
কাঠালিয়া (ঝালকাঠী) প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় রিমাল ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন মমতাজ বেগম- এ ঝড়ে তার ঝুপড়ি ঘরটি উড়ে গেছে। ল-ভ- হয়ে গেছে মাথা গোঁজার ঠাই। মমতাজ বেগম বাড়ি কাঠালিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিন আউরা গ্রামে”টাকার অভাবে তিনি ঘরটি মেরামত করতে পারেননি এখনও। কোনরকম সহযোগিতাও জোটেনি কপালে।কোন মতে চালায় সংসার। নিরুপায় হয়ে বসতভিটার ওপর ছাপড়া দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি । দিনের বেলা কোনমতে পার হলেও রাত কাটে তাদের ভয়ে।এলাকার, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকমের সহযোগিতা না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মমতাজ বেগম বাড়িতে গেলে দুই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন, ‘ও ভাই আপনারা কী ঝড়ে যাগো ঘর ভাইঙ্গা গেছে হেগো নাম নেন? আমার ঘরডা ভাইঙ্গা চুরমার হইয়া গেছে। পারলে মোর একটা ঘরের নাম দিয়েন। মোর দারে টাহা নাই, আপনেগো জন্য দোয়া করমু, তবুও মোর নামটা রাইখেন।’ সামান্য সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে কোনরকম টিনের বেড়ার নড়বড়ে ঘর তোলেন। অন্তত: মাথা গোঁজার মত একটু ঠাঁই ছিলো-কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমাল তাও কেড়ে নিলো। দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে গেছে আশ্রয়ের শেষ ঠিকানা। মমতাজ বেগম বলেন, ঘর ভাঙ্গার পর ঘরের জেলা প্রশাসক স্যারে কাছে আবেদন করিছিলাম- ইউএনও স্যারের কাছে আবেদন করেছিলাম। এখনও পর্যন্ত তো কিছুই পাইলাম না। এছাড়া কোনরকম ত্রাণও পাইনি, খোলা আকাশের নিচে জীবনযাপন করছি। খোলামেলা ঘরে দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটছে দিনগুলো। অনেক চিন্তা হয়। গরীব বলে মোগো খবর কেউ রাখে না। ডিসি স্যারে একটি কিছু ঢেউটিন দিলে সবাইরে লইয়া একটু শান্তিতে ঘুমাইতে পারমু।
Print [1]