মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ , আজকের সময় : রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মির্জাগঞ্জে আস্থাশীল জনপ্রতিনিধি আবু বকর সিদ্দিকী: দাবী সাধারণ ভোটারদের

মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

ঘূর্ণিঝড় সিডরে বিধ্বস্ত উপকূলের উপজেলা মির্জাগঞ্জ। ২০০৭ সালের ১১৫ জন নিহতদের স্মৃতি বয়ে বেড়ানো এ জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে বর্তমান সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রয়োজন পড়ে দক্ষ জনপ্রতিনিধির। সময়ের এই ক্রান্তিকালে খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী তরুণ রাজনীতিবিদ ও বিচক্ষণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হওয়ায় ২০০৯ সালে নির্বাচিত হয় মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান।

মির্জাগঞ্জের সম্ভ্রান্ত খান বংশের ছেলে খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী এর দাদা মরহুম এনায়েত হোসেন খান তার জীবদ্দশায় ৪বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তার চাচা ১বার ও চাচাতো ভাই ২বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নানা মরহুম জেন্নাত আলী খান দুইবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

বংশপরম্পরায় জনপ্রতিনিধি হওয়া আবু বকর সিদ্দিকী ২০০৯ সালে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরপর দুই বার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।প্রতিশ্রুতি শীল জনপ্রতিনিধি হিসেবে টানা ১৫ বছর প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং চলতি পরিষদেরও তিনি চেয়ারম্যান।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ২৯মে নির্বাচনের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমেলের কারণে নির্বাচন কমিশন ৯ জুন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে । তৃতীয় বারের মত আবু বকর সিদ্দিকী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে “কাপ পিরিস” প্রতিক নিয়ে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তফসিল ঘোষনার পর থেকেই সরকারী বিধি অনুযায়ী প্রচার প্রচারনায় মুখরিত থেকেছেন এ পর্যন্ত। ভোটের দিন পর্যন্ত কোন ধরনের বিপত্তি ছাড়াই পুনরায় নির্বাচিত হতে চায় আবু বক্কর।

নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে প্রতিটি এলাকায় লেগেছে তার উন্নয়নের ছোঁয়া। টানা১৫ বছরের প্রতিনিধিত্বে বর্তমান সরকারের আমলে জনপ্রতিনিধি হতে পেরে ব্যাপক উন্নয়নের সুযোগ পেয়েছেন। প্রতিটি এলাকায় তৈরি হয়েছে তার নতুন নতুন ভোটার এবং বেড়েছে তার জনপ্রিয়তা। আবু বক্করের তুলনায় নির্ভরযোগ্য কোন প্রার্থী তৈরি না হওয়ায় এবারের নির্বাচনে সব বয়সের ভোটাররা আস্থা করছেন তার উপর।

কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের আব্দুল মালেক বলেন, মির্জাগঞ্জের নির্বাচনে আবু বকর সিদ্দিকীর ধারে কাছেও কেউ নেই। অহংকার বলতে কোনদিন কিছু দেখি নাই। ১০ বছর আগেও যেমন ছিল এখনো তেমনি আছে।

সত্তরোর্ধ মোঃ ইয়াসিন বলেন, তার বাপ দাদারাও জনগণের খেদমত করেছে আবু বক্কর সেই পথেই চলে। এলাকার সব মানুষ তাকে পছন্দ করে।

একটি বক্তব্য আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, আমি সব সময় জনগণের কাছে দেয়া সকল ওয়াদা পালন করার চেষ্টা করেছি। সৌভাগ্যক্রমে আমি আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে জনপ্রতিনিধি হয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সাথে আমিও আমার এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের সুযোগ পেয়েছি। এবার ঘূর্ণিঝড় রেমালে আমার এলাকায় সকল ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। তরুণ উদ্যোক্তাদের সকল কাজে সহযোগিতা করব। মির্জাগঞ্জ উপজেলা সকল জনগণের উপর আমার আস্থা আছে তারা আমাকে ভোট দিয়ে আবারো জয়যুক্ত করবেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গ্রাম হবে শহর প্রকল্পে প্রথম ধাপে যেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করতে পারি সেই প্রচেষ্টা করব। আমার পূর্বপুরুষরা যেভাবে জনগণের সঙ্গে সঙ্গে মিলে মিশে খেদমত করেছে আমিও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।