সাব্বির আলম বাবু, ভোলাঃ , আপলোডের সময় : বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

ভোলার ইলিশা-মজুচৌধুরীরহাট নৌপথে দুই ফেরি বিকল, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মনপুরা

ভোলার ইলিশা ও লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট নৌপথে তিনটি ফেরির দুটি বিকল হয়ে আছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় গতকাল সোমবার সকাল থেকে ভোলার মনপুরা উপজেলা ও কয়েকটি অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে।
হাজীরহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আমির হোসেন হাওলাদার বলেন, ভোলার মনপুরা-ঢাকা, মনপুরা-হাতিয়া, মনপুরা-তজুমদ্দিন, মনপুরা-বেতুয়া (চরফ্যাশন), মনপুরা-লক্ষ্মীপুর, মনপুরা-কলাতলীসহ মনপুরার সঙ্গে সব এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। কোনো যাত্রীবাহী নৌযান না চলার কারণে মনপুরা থেকে কোনো মানুষ বের হতে পারছে না। কাউকে জরুরি প্রয়োজনে বের হতে হলে ঝুঁকি নিয়ে স্পিডবোটে করে যেতে হচ্ছে।
যোগাযোগ বন্ধ আছে চরফ্যাশন উপজেলার কয়েকটি অভ্যন্তরীণ নৌপথেও। উপজেলার ঢালচরের বাসিন্দা শাহে আলম ফরাজি বলেন, গতকাল থেকে ঢালচর-কচ্ছপিয়া, কচ্ছপিয়া-চরপাতিলা ও কচ্ছপিয়া-কুকরিমুকরি নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। তবে অবৈধভাবে ট্রলার ও স্পিডবোট চলছে।
ভোলার ইলিশা ফেরি ও লঞ্চঘাটের ইজারাদার মো. ইউসুফ বলেন, ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট নৌপথে বর্তমানে কনকচাঁপা নামে একটি ফেরি সচল আছে। দুটি ফেরি বিকল হওয়ার কারণে লক্ষ্মীপুরের ডকইয়ার্ডে ইঞ্জিন সংস্কারের কাজ চলছে। গত শনিবার বিকল হয়েছে কুসুমকলী এবং গতকাল বিকল হয়েছে কিষাণী ফেরি। ফেরি দুটি বিকল হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তেমন প্রভাব পড়ছে না। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলেই ফেরিসংকটে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ বাড়বে। তাই দ্রুত ফেরি দুটি মেরামত করা প্রয়োজন। রাজাপুর ইউনিয়নের এক যাত্রী আমির হোসেন বলেন, জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের দুটি ঘাটই ডুবে যাচ্ছে। ফেরিতে ওঠার সংযোগ সড়কের অবস্থাও বেহাল। দিনের ছয় থাকে সাত ঘণ্টা ফেরিতে ওঠানামা করতে যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। তবে জোয়ারের পানি নেমে গেলে সমস্যা কমছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ইলিশা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক পারভেজ খান বলেন, কুসুমকলী ও কিষাণী নামের দুটি ফেরির ইঞ্জিন সংস্কারের জন্য ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। যানবাহনের চাপ কম, চাপ বাড়ার আগেই ফেরি দুটি নৌপথের ঘাটে আনা হবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভোলা নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জারি করা সতর্কতসংকেত তুলে নিলে সাগর মোহনার মনপুরা ও চরফ্যাশনের নৌপথে যাত্রীবাহী নৌযান চালু হবে।