কাঁঠালিয়া প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় কৃষি প্রণোদনার ১৯ বস্তা ধানবীজ ও সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সভা কক্ষ ও ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতার গুদামে তল্লাশি চালিয়ে এসব উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেছার উদ্দিন। এ ঘটনায় ঐ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিঠু সিকদার সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন – যুবলীগ নেতা দীপক হাওলাদার, ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু শিকদার ও ইউপি সদস্য হেলাল শিকদার।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার জানান, এ ঘটনায় ৩ জন আসামি করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে , ১২ বস্তা ধানবীজ ও ৭ বস্তা সার। এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৬ বস্তা ব্রি-৪৮ ধানের বীজ ( প্রতিটিতে ১০ কেজি), যুবলীগ নেতা দিপক হাওলদারের পশ্চিম ছিটকী (সাতানি বাজার) এর ভাড়া বাসা থেকে এমওপি (পটাশ) ৫ প্যাকেট ও ডিএপি ২ বস্তা রাসায়নিক সার (বস্তায় ৫০ কেজি) ও ২ বস্তা ব্রি-৯৮, ৪ বস্তা ব্রি -৪৮ ধান বীজ উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দকৃত মালামাল কাঠালিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযান চলাকালীন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান সহ দায়িত্বরত কাউকে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষ থেকে কয়েকটি অটো রিক্সা বোঝাই করে সারের বস্তা ও ধানের বীজ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি এই অভিযান পরিচালনা করেন।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন জানান, “উদ্ধারকৃত মালামাল গত এপ্রিল মাসে কৃষকদের মাঝে বিতরণকৃত কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ। এ গুলো আমরা কৃষকদের কাছে বিতরণ করেছি। তবে কি ভাবে এখানে এলো এবং পাওয়া গেলো তা আমাদের জানা নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান বিন ইসলাম জানান, “খবর পেয়ে ইউএনও স্যার সহ আমরা ঘটনা স্থানে যাই। আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের একটি কক্ষ থেকে ও ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সাতানি বাজারের দিপক হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির বাসা থেকে সার ও ধানের বীজের ১৯ টি বস্তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কাঠালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিঠু সিকদার জানান, ১০ কেজির ৬ প্যাকেট ধানের বীজ একজন চেয়ারম্যান কি কারনে চুরি করবেন ? এ ধানের বীজের দামই বা কত ? এটা কিভাবে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এসেছে বা কারা এনেছে তা আমার জানা নাই। আমি এখন নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত আছি।
যুবলীগ নেতা দিপক হাওলাদার জানান, আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল সার ও বীজ আমার কাছে রেখে গেছেন। তখন তিনি আমাকে বলছেন কয়েকজন কৃষকের এই মালামাল। দুই তিন দিনের মধ্যে তাদের মাঝে বিতরণ করবো”।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..