আসন্ন মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া মার্কার প্রার্থী এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
বৃহস্পতিবার ( ৬ জুন) সকাল ১০ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
লিখিত বক্তব্যে জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘মির্জাগঞ্জ উপজেলা আমাদের গর্বিত আবাস, মির্জাগঞ্জ উপজেলাকে নিরাপদ জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন ধারা প্রতিষ্ঠায় হিংসা, বিদ্বেষ ও হীন ষড়যন্ত্রকে বিদায় দিয়ে সম্মান, সৌহার্দ্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়ে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের সবকটি অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করব।’
তিনি বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সততা ও নিষ্ঠার জবাবদিহিতার নতুন ধারায় উপজেলা পরিষদ কার্যক্রম পরিচালনা করব। ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিবিড় সম্পর্কের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ কার্যক্রম পরিচালনায় জনপ্রতিনিধিদের সহয়তা গ্রহণ করব।’
জুয়েল বলেন, ‘মাদক নির্মুলে খেলাধুলাকে উৎসাহিত করতে যুব-তরুণদের সকল ধর
আসন্ন মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া মার্কার প্রার্থী এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
বৃহস্পতিবার ( ৬ জুন) সকাল ১০ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
লিখিত বক্তব্যে জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘মির্জাগঞ্জ উপজেলা আমাদের গর্বিত আবাস, মির্জাগঞ্জ উপজেলাকে নিরাপদ জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন ধারা প্রতিষ্ঠায় হিংসা, বিদ্বেষ ও হীন ষড়যন্ত্রকে বিদায় দিয়ে সম্মান, সৌহার্দ্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়ে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের সবকটি অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করব।’
তিনি বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সততা ও নিষ্ঠার জবাবদিহিতার নতুন ধারায় উপজেলা পরিষদ কার্যক্রম পরিচালনা করব। ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিবিড় সম্পর্কের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ কার্যক্রম পরিচালনায় জনপ্রতিনিধিদের সহয়তা গ্রহণ করব।’
জুয়েল বলেন, ‘মাদক নির্মুলে খেলাধুলাকে উৎসাহিত করতে যুব-তরুণদের সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করব। উপজেলা পর্যায়ে সরকারের সকল দপ্তরের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের in মাধ্যমে উপজেলাবাসীর চাহিদা নিরুপনপূর্বক সরকারি সহয়তার সর্বোচ্চ কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করব। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপজেলার সকল প্রকল্প চিহ্নিত করন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা এবং সরকার প্রদত্ত সকল প্রকার সহয়তা শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে বন্টন নিশ্চিত করবো।’
ঘোড়ার প্রার্থী বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করব। স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। মসজিদ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করব। সামাজিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সংযুক্ত করে স্বচ্ছ নিষ্পত্তি সম্পন্ন করব।’
তিনি বলেন, ‘কর্মমুখী নারী উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবো। বেকার যুবকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রান্তিক পর্যায়ে সকল সমবায় সমিতি ও সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের জনকল্যাণকর কাজে সহযোগিতা প্রদান করব। উপজেলা পরিষদ কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তারকারী দালাল চক্রকে নিবৃত করে সম্পূর্ণ গণমূখী কল্যাণকর ধারা বাস্তবায়ন করব।’
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ইভটিজিং নির্মূলে প্রশাসনের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আন্ত: ইউনিয়ন সংযোগকারী রাস্তা, ব্রিজ, পুল, কালভার্ট নির্মাণ ও মেরামত করে জনগণের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি করা। উপজেলার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার বিষয় পর্যালোচনা করে নিয়মিতভাবে প্রতিবেদন তৈরি করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সকল কাজের সমন্বয়, উপজেলার ত্রাণ ও পূনর্বাসন in XD SW কাজ সঠিকভাবে পর্যালোচনা করা। পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সামাজিক বনায়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করা। কৃষি ক্ষেত্রে ফলন বৃদ্ধির জন্য উন্নতমানের কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং কৃষকের ন্যায্য মূল্য আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এছাড়া নদী উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। সাধারণ জনগণের সম্মুখে উপজেলা পরিষদের বাজেট উপস্থাপন করা। উপজেলা পরিষদের আওতাধীন হাট-বাজার, খেয়া ও অন্যান্য ইজারার ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে উত্থাপিত অনিয়মের অভিযোগ দূর করে জনকল্যাণের ধারা নিশ্চিত করা।
গ্রাম পর্যায়ে সুপেয় পানি সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে এইরূপ এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ গভীর নলকূপ স্থাপনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। মেধাবী ও দারিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহয়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দুস্থ ও গরীব রোগীদের জন্য ফ্রী এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অবৈধভাবে জমি দখল নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। উপজেলা শহরে পানি নিষ্কাশনের জন্য উন্নতমানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করা। বাজার বাসস্ট্যান্ডসহ উপযুক্ত স্থানে পাবলিক টয়লেট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করাসহ ইশতেহারে ৩০ দফা উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীবৃন্দসহ ঘোড়া মার্কার কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে in মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ২৯মে নির্বাচনের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে নির্বাচন কমিশন ৯ জুন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে।