নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪ , আজকের সময় : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

নারী সহকর্মীকে অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ ‘বিডিআরসিএস’র ডিএডি মইন উদ্দিনের বিরুদ্ধে

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) এক নারী সহকর্মীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানের ‘ডিএডি’ মইন উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

গত মে মাসের ১৯ তারিখে ভুক্তভোগী ওই নারী ‘বিডিআরসিএস’র চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী নারী লিখিত অভিযোগে বলেন:-

বিনীত নিবেদন এই যে, আমি (নিম্ন স্বাক্ষরকারী) এইচ.আর অফিসার হিসেবে ০১ জুন ২০২২ ইং তারিখে এইচ.আর বিভাগে জাতীয় সদর দপ্তরে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকে আমি দক্ষতা ও সততার সাথে নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছি। প্রথম দিকে কোন সমস্যা ছিল না কিন্তু কয়েক মাস পর থেকে আমার পুরুষ সহকর্মী ডিএডি মইন উদ্দিন (মইন) আমাকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতে শুরু করে। সহকর্মী হিসেবে কাজের ফাঁকে কথা বলার সময় তিনি জানতে পারেন যে, আমি একজন সিংগেল মাদার এবং মা ও মেয়ে নিয়ে আমার স্ট্রগল লাইফ। জনাব মইন এই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বিভিন্নভাবে তার সাথে সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করেন। জনাব মইন বলেন, বিডি আর সি এস এ টিকে থাকতে হলে আমাকে কম্প্রোমাইজ করেই টিকে থা্কতে হবে। যে সব নারী কলিগ এখানে উচ্চ পদে আছেন তারা কম্প্রোমাইজ করেই এতদুর এসেছেন। জনাব মইন বিগত চেয়ারম্যানের কাছের লোক বলেও নিজেকে জাহির করতে থাকেন। সেটা তার কথা-বার্তা এবং আচার-আচরনে প্রকট হয়ে উঠে। প্রথম প্রথম আমি দুষ্টমী মনে করেছি, এবং কোন প্রমাণ রাখিনি। তিনি আমাকে ক্রমাগত অনৈতিক প্রস্তাব দিতে শুরু করলে আমি প্রমান ধারনের চেষ্টা করি। একদিন রাতে তিনি আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দেন। যেটি সংযুক্ত কপি হিসেবে দেয়া হলো। উক্ত চ্যাটিংএর স্কিন শর্ট আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। স্যার আমি একজন কর্মজীবী নারী অফিসের পরিবেশ পরিস্থিতি তথা সামাজিক অবস্থান মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে এবং অনুকুল পরিবেশ না থাকায় এতোদিন অভিযোগ করিনি। আমি পট পরিবর্তনের অপেক্ষায় ছিলাম। ইতিমধ্যে আমি পি জি আই ফোকাল এডি ফারজানা আকতার এর কাছ থেকে পর পর দুই দিন কমপ্লেন ফর্ম চেয়েছি তিনি সেটা দেননি। মইন এর প্রস্তাব বেড়েই চলেছে। নানাভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে এবং খাগড়াছড়ি-বান্দরবন ট্রান্সফার করার হুমকি দেন। ইতিমধ্যে পট পরিবর্তন হয়। আমি সিদ্ধান্ত নেই যে, আর চুপ থাকবো না কারন আমি আর মানুষিকভাবে চাপ নিতে পারছিলাম না। যা আমার কাজের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটেছে। আমি ক্রমান্বয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলাম। উল্লেখ্য যে, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বিধায় যথযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আমার সুবিচার পাওয়ার আশায় বিষয়টি উপস্থাপন করলাম।

আমি বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) জেন্ডার সেনসিটিভ পিএসইএ এবং এস জি বিভি জিরো টলারেন্স নিতী অনুসরন করে। আমি সুবিচার পাওয়ার আশায় আমার অভিযোগনামা দাখিল করছি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর সাথে কথা বললে তিনি ‘দ্য কান্ট্রি টুডে’কে বলেন আমি ডিএডি মইনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি। এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

পি জি আই ফোকাল এডি ফারজানা আকতারের সাথে তার কমপ্লেন ফর্ম না দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাচ্ছি না, বলেই ফোন কেটে দেন।

অভিযুক্ত ডিএডি মইনের সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।