পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কাঠালতলী বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত ঘরে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাজারে ব্যবসায়ীরা। ১০-১২ টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছে।
২৫জুন (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় কাঠালতলী বাজারে শতাধিক নাড়ী, পুরুষ, সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। গত ১৯শে জুন বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনায় পর থেকে দুর্বৃত্তদের ভয়ে এতদিন কেহ মুখ খুলতে সাহস পায়নি তবে হামলা কালিন সময় অনেকে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। ভিডিওতে দেখা যায় ১০ থেকে ১৫ জন দুর্বৃত্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করছে। প্রশাসনের নজরদারি সহ আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য বাজার ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ব্যক্তিদের বক্তব্য থেকে জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী সারোয়ার এক সময় কট্টর জামায়েত ইসলামের কর্মী ছিল। বর্তমানে গা ঢাকা দিয়ে ঘাপটি মেরে বসে আছে। ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে বহুদিন পরে কাঠালতলী বাজারের এক অংশ দখল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
বাজার কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ বলেন, একদল ভূমিদস্যু বহুদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত বাজারকে লুটপাট ও দখল করার পায়তারা চালিয়ে আসছে। সুযোগ পেয়ে সন্ত্রাসীরা দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা করে দোকানপাট ভাঙচুর করে।
স্থানীয় বৃদ্ধ ব্যবসায়ী ইউনুস মোল্লা বলেন, এই বাজারে আমি ছোটবেলা থেকেই ব্যবসা করি। হামলার সময় কাহারা কিভাবে আমার দোকানের মুরগিগুলো লুটপাট করে নিয়ে গেছে আমি কিছুই বলতে পারি না। এসময় একদল লোক আমাকে ঘিরে রেখেছিল।
জাকির হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমার দোকান থেকে প্রায় এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকার জুতা মাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
ফরিদা আক্তার বলেন, আমার কাপড়ের দোকান চায়ের দোকান সহ বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে মালামাল নিয়ে গেছে। হামলাকারী সরোয়ার ও তার ভাই বাবুসহ চারজনকে চিনতে পেরেছি। এছাড়াও তাদের সঙ্গে আরও অনেক লোক ছিল।
স্থানীয় ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, বাজারের মধ্যে আমার রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে বসার স্থান ছিল।
হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করেছে। বড় একটা নৌকা ছিল তারা ভেঙে সাথে করে নিয়ে গেছে। এই হামলা বঙ্গবন্ধুর উপরে হামলা এ হামলা নৌকার উপরে হামলা। আমি ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী হাওলাদার বলেন,ছোটবেলা থেকে আমি কাঠালতলী বাজারে নিয়মিত আসা যাওয়া করি।আমার জানামতে বাজার সরকারি খাস জমিতে। এছাড়া সরকারি স্থাপনা আছে। এখানে কোন রেকর্ডীয় সম্পত্তি আছে বলে আমার জানা নাই।