পটুয়াখালী ২৫০ সজ্জা বিশিষ্ট হাসপাতালের অভ্যন্তরে চুক্তিভিত্তিক ইজারা নেয়া একটি ঔষধের ফার্মেসী সরকার পতনের দিন রাতেই হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এক সপ্তাহ পর দ্বিতীয় দফার হামলা ও লুটপাটে পথে বসে যায় ব্যবসায়ী।
জানা যায়,পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল সংলগ্ন পৃথক জায়গায় একটি ঔষধের দোকান ও একটি ক্যান্টিন রয়েছে। উভয় প্রতিষ্ঠানে একটি চুক্তির মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ৫ বছরের জন্য ইজারা নেয় সৈয়দ ইমাম হাসান জুয়েল। জনস্বার্থে এবং রোগীদের সেবার সুবিধার্থে দিনে এবং রাতে সর্বক্ষণিক ন্যায্য মূল্যে ঔষধ বিক্রির ব্যবস্থা করা হয় দোকান থেকে। ফার্মেসিটি হাসপাতাল সংলগ্ন হওয়ায় গভীর রাতের বিশেষ প্রয়োজনেও নারী পুরুষ যে কেউ সহজেই হাতের নাগালে ঔষধ পেত। কিন্তু সরকার পতনের দিন ৫ই অগস্ট রাতে দুর্বৃত্তরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এরপরও ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একদিন পর আবারো ফার্মেসি খুলে বসে। ৮ আগষ্ট কোন কারন ছাড়াই হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক থেকে ঔষধের দোকান ও ক্যান্টিনকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অপসারণ করার নোটিশ দেয়। দিশেহারা প্রতিষ্ঠান মালিক তত্ত্বাবধায়কের সাথে আলোচনা করার জন্য অপেক্ষা করে এবং দোকান বন্ধ রাখে। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় এক সপ্তাহ পর ১৪ অক্টোবর গভীর রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে ওষুধের দোকানটি গুঁড়িয়ে দেয় এবং মালামাল লুটপাট করে। এতে প্রায় প্রতিষ্ঠানটি বিশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে জানায়।
চুক্তিপত্র ও প্রেরিত চিঠি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি ঔষধের দোকান ও একটি ক্যান্টিন ইজারা নেয় সৈয়দ ইমাম হাসান জুয়েল। চুক্তি অনুযায়ী এখনো প্রায় আড়াই বছর ব্যবসা করতে পারবে সে। যে কারো প্রয়োজনে দুই মাস সময় পাবে দোকান খালি করার জন্য। কিন্তু উল্লেখিত কোন কারণ ছাড়াই ৮ অগস্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক থেকে ফার্মেসী ও ক্যান্টিন বরাবর দোকান অপসারণের চিঠি দেয়া হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে এস এইচ ফার্মেসী ও এস এইচ কেন্টিনটি অপসারণ করা না হলে যথাযথ আইনানুর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ি জুয়েলের শ্বশুর বলেন, এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকেই জামাই এবং আমার পরিবার চলত। দুর্বৃত্তদের হামলা এবং লুটপাটে আমরা এখন পথে বসে গেছি। ক্ষতিপূরণ সহ এখানে যেন আমরা আবার ব্যবসা করতে পারি সরকারের কাছে এই দাবি জানাই।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।