মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কলাপাড়ায় চেয়ারম্যানের আধিপত্যে কোটি টাকার জমি দখলের অভিযোগ

মনজুর মোর্শেদ তুহিন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: 

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া আধিপত্যে কোটি টাকার জমি দখলের অভিযোগ ওঠে কলাপাড়া ১নং চাকামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর হাওলাদার এর বিরুদ্ধে। সে ও তার ভুমিদস্যু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোটি টাকা মুল্যের ২০০ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী চাকামাইয়া ৯নং ওয়ার্ডের কাঠাল পাড়ার মোঃ এনামুল হক তালুকদার (নাসির) ১০ জুন চেয়ারম্যন মজিবুর এর বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এছড়াএ কলাপাড়া নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট দ্প্তরে অভিযোগের অনুলিপি পেশ করেন।

এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান মজিবুর হাওলাদার সরকার পতনের দিন ৫ আগষ্ট রাতে পূর্বের দখলকৃত জমির পরও নতুন করে আরও ব্যপক জমি দখল করেন এবং এলাকা বাসির ২২ টি গরু লুটপাট করে নিয়ে যায়। এলাকাবাসী আরো বলেন ঘোষণা দিয়ে লোকজন নিয়ে তিনটি ট্রাক্টর চালিয়ে জমিগুলোর আইল ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছেন। ঔ রাতেই তার এলাকার মাছের ঘের থেকে কয়েক লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায় । এর আগেও ২০২২ সালের ২৮ জুলাই চেয়ারম্যান মজিবুর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা মাছ লুটপাটের অভিযোগে ভুক্তভোগী স্থানীয় সরকারী আবাসনের নারী-পুরুষরা সংবাদ সম্মেলন করেন যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

এনামুল হক নাসিরের লিখিত অভিযোগে জাানা যায়, চাকামাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর হাওলাদার ও তার নিয়ন্ত্রাধীন একটি শক্তিশারী ভুমিদস্যু সিন্ডিকেট রয়েছে। জুলফিকার আলী তালুকদার ওয়াকফাহ এস্টেট সম্পত্তি (ওয়াক্ ফ ইসি নাম্বার,৪২৯৭) । যাহার সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক তালুকদার নাসির। ৩৫০ নং৷ খতিয়ানভুক্ত যাহার দাগ নং ৩০২২, ২৯৪৪, ২৯৪৫, ৩০২০, ২১৩ ও ২১৪ যেখানে ৩৩০৭ একর জমি রয়েছে। জমিগুলোর বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। বৈধ কাগজপত্র যাচাই শেষে জমিগুলোর মুল মালিকদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রি করে যথারীতি খারিজ সম্পন্ন করে খাজনা পরিশোধ করেছেন নাসির। চাষাবাদের সুবিধার্থে সম্প্রতি তিনি জমিগুলোর আইল সংস্কার করতে কয়েক লাখ টাকা খরচ করেন। যেগুলো বর্তমানে মজিবর দখল করে রেখেছে। ওই দাগের মধ্যে ৫০-৬০ বছরের পুরানো একটি সুইচগেট রয়েছে। যেখানে মজিবুর এর মদদে কতিপয় ভূমিদস্যু ও জলদস্যু সুইজগেট এর আশেপাশে ঘরবাড়ি তৈরি করে নিয়মিত গেটের মুখে জাল ফেলে মাছ ধরে। কেন ওয়াকফাহ স্টেটের গুরুত্বপূর্ণ একটি সুইচ গেটে জাল ফেলে আটকে মাছ ধরে জানতে চাইলে নাসিরকে প্রাণ নাসের হুমকি দেয় ।

জমির মালিক নাসির তালুকদার অভিযোগে বলেন, জমি দখলে আমি বাধা দিতে গেলে মজিবুর চেয়ারম্যান আমাকে বলেন, আমি যা বলব সেটাই হবে। এই জমি আমি পুরোটাই দখলে নিয়ে যাবো পারলে ঠেকাও, আমাকে অস্ত্র নিয়ে তাড়া করলে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে পটুয়াখালীর ফায়ার সার্ভিস রোডের বাসায় আশ্রয় নেই।

এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চেয়ারম্যান মজিবুর এলাকার বাহিরের কেহ জমি কিনলে সেখানে নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি করে টাকা পয়সা আদায়ের চেষ্টা করেন। নিজের জমির কাছে কাউকে ভিরতে দেয় না। জমি দখলের জন্য মজিবুরের একটি ভুমিদস্যু সিন্ডিকেট আছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর হাওলাদার বলেন, কাঠালপাড়া আমার কোন জমি নাই। নাসিরের জায়গা কারা দখল করেছে জানি না। নাসির তালুকদার ওখানে কিসের জায়গা পাবে? তারও এখানে কোন জায়গা নেই।

অভিযোগ পেয়ে কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানায়, তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।