রিপোর্টারের নাম , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

৯ ডিসেম্বর নকলা হানাদার মুক্ত দিবস

৯ ডিসেম্বর, নকলা পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সীমান্ত জেলা শেরপুরের নকলা উপজেলাকে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত করেছিলেন।

১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীকে বিতারিত করে যুদ্ধকালীন ১১নং সেক্টরের আওতায় থাকা নকলা অঞ্চলকে হানাদার মুক্ত করে বিজয়ের পতাকা উড়ানো হয়।

তথ্য মতে, মুক্তি যুদ্ধকালীন সময়ে ১১নং সেক্টরের তথা ব্র‏হ্মপুত্র নদের উত্তরে পাকবাহিনীর হেড কোয়াটার আহম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্বে ছিলেন মেজর রিয়াজ। অন্যদিকে মুক্তিবাহিনীর গুরুদায়িত্বে ছিলেন এম. হামিদুল্লাহ এবং ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল আবু তাহের।

হানাদার বাহিনীর মূল টার্গেটে থাকা নকলাতে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে গৃহহীন করেছিল হাজার হাজার মানুষকে। হত্যা করেছিল শত শত মুক্তিকামী যুবকদের। শহীদ হয়েছিলেন ১৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তবুও মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় বানাজিৎ শিং ত্যাগী ও ব্রিগেডিয়ার সানাতন শিং এর উদ্যোগে এবং কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে টু-আইসি আব্দুর রশিদ ও সিকিউরিটি কর্মকর্তা একলিম শাহ্সহ ৩ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। হানাদাররা পিছু হটলেও ১৩০ জন এদেশীয় দূসর তথা বদররা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দি হয়।

পরের দিন ১১৭ জন রাজাকার-বদর ১১০ টি অস্ত্রসহ কোম্পানী কমান্ডারের কাছে আত্মসমর্পন করে। সকাল ১১ টায় নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বর্তমানে সরকারি) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলণ করা হয়।