রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪ , আজকের সময় : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

মুরাদনগরে জোরপূর্বক রাস্তা দখলের পায়তারা

রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার পীরকাশিমপুর গ্রামের অর্চ্চনা রানী (৬২) নামে এক হিন্দু মহিলার ভিটি বাড়ির উপর দিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা দখলের পায়তারা করছেন প্রভাবশালী কয়েকটি পরিবার। এবিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী অর্চ্চনা রানী। সে ওই গ্রামের স্বর্গীয় সেবানন্দ গোস্বামী স্ত্রী।

অভিযুক্তরা হলেন, শাহজাহান মিয়া, সৈয়দ মিয়া, হান্নান মিয়া, কামরুল মিয়াসহ তাদের পরিবারের অন্যন্য সদস্যবৃন্দ।
সূত্রে জানা যায়, পীর কাশিমপুর গ্রামের সেবানন্দ ভূষামীর বাড়ির পাশ দিয়ে হাটার জন্য দু’পায়ের একটি সরুপথ ছিলো। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় ওই বাড়ি ঘেষে একটি পাকা রাস্তা হয়। এতে পাশের বাড়ির লোকজনের নজর পড়ে হিন্দু বাড়ির ওপর। তারা হিন্দু বাড়ির ওপর দিয়ে প্রসস্ত পথ বের করে পাকা রাস্তা পর্যন্ত যেতে মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু অর্চ্চনা রানী তাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর বাড়ির ওপর দিয়ে রাস্তা দিতে তিনি নারাজ।

এই কারণে প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অর্চ্চনা বাড়িতে হামলা করেন। তার ঘরের বিভিন্ন জায়গায় লাঠিসোটা ও দা দিয়ে কুপিয়ে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ করেন।
অর্চ্চনা রাণী বলেন, “ রাস্তার জন্য পাশের বাড়ির সৈয়দ মিয়া ও তার ভাইয়েরা মিলে আমার বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করেন। তাঁরা লাঠির জোরে আমার বাড়ির ওপর দিয়ে রাস্তা করতে চায়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আবু তাহের স্যার বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি সালিশ করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, আমাকে পুকুরের ভিতর ৩ শতক দিয়ে তারা আমার বাড়ির দক্ষিণ পাশ থেকে ২ শতক নিবে। সালিশী সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেই। কিন্তু তারা রায় অমান্য করে আমার ওপর জোর জবর দস্তি চালায়। বাড়িতে এসে হুমকি দেয় আমি যেন, এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাই। এছাড়াও আমার পুকুরের ভিতর জোর করে ঘাটলা দিয়ে দখল করে রাখছে।

অভিযুক্ত শাহজাহান ও সৈয়দ মিয়া বলেন,“ হিন্দু পরিবারের জায়গা ঠিক আছে। কিন্তু এই পথ দিয়ে আমরা বহুবছর চলাফেরা করি। অচ্চর্না রানীর স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে সে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাঁধা দেয়। রাস্তার মধ্যে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে এবং আমাদেরকে দেখলে গালমন্দ করেন। তাদের বাড়িতে আমরা হামলা করিনি। এটি মিথ্যা”।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) সালাউদ্দিন আল মাহমুদ বলেন,“ অভিযোগটি আমার যোগদানের পূর্বের। ওনি পুনরায় থানায় আসলে বিষয়টি যেনে যতটুকু সম্ভব আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।