মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে এবার বিদেশ যাওয়ার চেষ্টায় আছেন বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে দেশের বাইরে যেতে বিমানের টিকিট সংগ্রহ করেছেন তিনি।
গত সোমবার সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার মধ্যে চট্টগ্রামের চলে যান ড. মুরাদ। নারীর প্রতি শিষ্টাচারবহির্ভূত অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর থেকেই সপরিবারে বাইরের দেশে চেষ্টা শুরু করেন। পরের চূড়ান্তভাবে কানাডা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ডা. মুরাদ।
প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ডা. মুরাদ যে লাল পসপোর্ট ছিল সেটি পদত্যাগের কিছুক্ষণ আগে ব্যক্তিগত দিন মঙ্গলবার তার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের।
যদিও লাল পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও অন্য দেশে যেতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে লাল পাসপোর্টধারী ব্যক্তি সরকারি আদেশ ছাড়া বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না। এ অবস্থায় তার বিদেশ গমন অনিশ্চিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার ৭ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে বারোটায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে পাঠান ডা. মুরাদ । পরে দুপুর তিনটয় তার পক্ষে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দফতরে জমা দেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
এদিকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম ফলক থেকেও মুরাদ হাসান এর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইট এ থাকা প্রতিমন্ত্রীর তালিকায় তার নাম কে বাদ দেয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এর ওয়েবসাইটে ও তার নাম নেই।