জুবায়ের আহমাদ জুয়েল (কিশোরগঞ্জ): , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামপন্থীদের করনীয়

জুবায়ের আহমাদ জুয়েল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

#প্রারম্ভিক_কথাঃ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি সমূহ রুপ নেয় সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে| আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণে সৃষ্টি হয় ‘গণঅভ্যূত্থান’২৪| পতন হয় আওয়ামী স্বৈরশাসনের| সংসদ ভেঙে দিয়ে গঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদ| শুরু হয় নতুন পথচলা|

#মূল_কথাঃ
ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসাইন ও মুফতি আব্দুল মালেক ২জন সহিহ্ ধারার ইসলামিক পন্ডিত ব্যক্তি| ক্লিন ইমেজের এই দুই ধর্ম বিশেষজ্ঞ বহু গুনে গুণান্বিত| একজন ধর্মীয় শিক্ষায় অপরজন উভয় শিক্ষায় সর্বোচ্চ শিক্ষিত | ১ম জন দেশের ধর্ম উপদেষ্টা, ২য় জন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইমাম| এটা ইসলামপন্থীদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যপার যে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারা ২জন প্রতিনিধি পেয়েছে যারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ পেয়েছেন| এখন থেকে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, ওয়াজের মঞ্চে কেউ বাঁধা দিবে না| কোরাআনের তাফসিরে আলোচকের মাইক্রোফোন কেঁড়ে নেবে না| ধর্মীয় আলোচনায় সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হবে না| ধর্মীয় বক্তব্য প্রদানের জন্য বাঁক সাধীনতা চেয়ে নিতে হবে না| ধর্ম অবমাননার জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে হবে না| ইসলামপন্থীদের জন্য অভিভাবক তৈরী হয়েছে| অধিকার আদায়ে বল প্রয়োগের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে|

এতদ্বসত্তেও তারা মুখরোচক সমালোচনা, কাঁদা ছুড়াছুঁড়ি আর আকিদার কেচাল নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে| এমনকি ২জন সিনিয়র ব্যক্তিকেও কথায় ছাড় দিচ্ছে না| সমসাময়িক প্রদত্ত বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করছেন| সভ-সেমিনারে বাকযুদ্ধ লেগেই আছে| সম্প্রতি ধর্ম উপদেষ্টা ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসাইন এক বক্তব্যে বলেন, “আমরা যদি ভুল করে থাকি তাহলে সরাসরি যোগাযোগ করে সংশোধন করে দিন, কিন্তু ফেসবুকে লেখালেখি, সমালোচনা এগুলো সংশোধনের মাধ্যম নয়|” পরিবেশ পর্যালোচনায় ধারণা করা যায়, ধর্ম উপদেষ্টার এই আহ্বান ইসলামপন্থীদের কর্নকূহরে পৌঁছায়নি| ফেসবুক সমালোচনা তীব্র গতিতে বেড়ে চলছে|

#সমাপ্তিঃ এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামপন্থীরা কতটুকু ভূমিকা পালন করতে পারবে তা ভাবনার বিষয়| রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, “ধারণা করা হচ্ছে বর্তমান সময় ইসলামপন্থীদের জন্য উর্বর ভূমি| মতানৈক্য দূর করে একই প্লাটফর্মে আসতে পারলে রাষ্ট্রের মানদন্ড তাদের হাতেই যাবে|” কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ইসলামপন্থীরা কি পারবে মতানৈক্য দূর করে একই প্লাটফর্মে আসতে?