শীত মৌসুম সামনে রেখে ব্যস্ত কম্বল তৈরীর কারিগর ও ব্যবসায়ীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছেন তারা। সিরাজগঞ্জে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সেখানে উৎপাদিত কম্বল যাচ্ছে সারাদেশে। তবে, কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবছর কম্বল কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে, এখানকার কম্বল শিল্প সম্প্রসারণে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
শীত মৌসুম আসছে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার কম্বল তৈরীর কারিগর ও ব্যবসায়ীদের। উপজেলার শিমুলদাইড়সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে কম্বল তৈরীর কাজ করছেন প্রায় ৭ হাজার নারী-পুরুষ, সকাল থেকে রাত অবধি সমান তালে কাজ করছেন তারা। পরিবারকে সহায়তার পাশাপাশি নিজেরাও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, দেশের প্রায় প্রতিটি জেলার পাইকাররা সিরাজগঞ্জে কম্বল কিনতে আসেন। ৭০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৪শ’ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দামে বিক্রি হয় এসব কম্বল। প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার কম্বল বিক্রি হয়। তবে, কাপড়ের দাম বাড়ার কারণে এবছর কম্বল কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা, কম্বল শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের প্রশিক্ষণসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী। উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হচ্ছে বলেও জানালেন তিনি।