বিমানবন্দর প্রতিনিধি , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে রাতের ফ্লাইট, অতিরিক্ত চাপের শঙ্কা

বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বন্ধ হচ্ছে ফ্লাইট। ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১০ জুন পর্যন্ত বিমানবন্দরে রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে হাই স্পিড ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তবে এতে চাপ বাড়লে, বিমানবন্দরে যাত্রী সেবা দেওয়া নিয়ে শঙ্কিত এয়ারলাইন্সগুলো।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে,  রাত ও ভোরের ফ্লাইটগুলো দিনের বিভিন্ন সময়ে বিন্যাস করা হয়েছে। এতে বিমানবন্দরে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। এমনিতেই বিমানবন্দরে ট্রলির সংকট হওয়ায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ। দিনে একই সময়ে অনেকগুলো ফ্লাইট থাকলে বোর্ডিং কাউন্টার, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন-সহ অন্যান্য জায়গায় যাত্রীর চাপ বাড়বে। এতে যাত্রীসেবা বিঘ্নিত হতে পারে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে  ২৭টি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করে। দিনে গড়ে ৫০টি ফ্লাইট ঢাকায় আসে। ৫৬টি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যায়। এসব ফ্লাইটে প্রায় ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। যাত্রীসেবার জন্য বিমানবন্দরে প্রায় ২ হাজার ২০০টি ট্রলি আছে। এর মধ্যে ১ হাজার ট্রলি ব্যবহারের অনুপযোগী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাতের ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় বিমানবন্দরে মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিদেশগামী যাত্রী ও স্বজনদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ।

একাধিক এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন,  একই সময়ে একাধিক ফ্লাইট থাকলে বোর্ডিং ব্রিজ পাওয়া নিয়ে সমস্যা হবে, যাত্রীদের লাগেজ পাওয়া, ইমিগ্রেশনসহ অন্যান্য জায়গায় চাপ বাড়লে ফ্লাইট ডিলেও হতে পারে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসান  বলেন, ফ্লাইটগুলো দিনের বিভিন্ন সময়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আগেও এর চেয়ে বেশি চাপ সামাল দিয়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে কোনও সমস্যা হবে না।
বেবিচক জানায়, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে নির্মাণকাজের অংশ হিসেবে হাইস্পিড কানেক্টিং ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণকাজ চলবে। পাশাপাশি একই সময়ে লাইটিং সেক্টরের কাজও চলবে। তবে বিমানবন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম চলবে। এ সময় জরুরি অবতরণের প্রয়োজন হলে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করা যাবে।