প্রযুক্তিকে আমরা তিন ভাবে ব্যবহার করি। প্রথমত, আমরা প্রযুক্তিকে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক অনুতপাদনশীল খাতে কনসিউম করি বা উপভোগ করি। যেমন, গাড়ি, টেলিভিশন, ঘড়ি। একে বলি টেকনোলজি কনসামশন। আপনার একটি গাড়ি আছে, এতে আপনার চলাফেরা ভাল ভাবেই হয়। তবূও সর্বশেষ প্রযুক্তির গাড়ি আপনি কিনলেন। মানে, আপনি প্রযুক্তিকে ভোগ করলেন। এতে সমষ্যা নেই, যদি এই প্রযুক্তি আপনার ডমেষ্টিক প্রডাক্ট হয়। আমদানি করা প্রযুক্তি ভোগে জাতীয় অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়। ডমেস্টিক প্রডাক্টের প্রযুক্তি ব্যাবহারে জাতীয় অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি পায়।
সেকেন্ডলি, আমরা প্রযুক্তিকে আমাদের উতপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহার করি। একে বলি টেকনোলজি এডাপশন। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এর ভুমিকা খুবই প্রত্যাশিত এবং অত্যাবশ্যকীয়। বলা চলে ইহা মুল মাধ্যম। কিন্তু, এতে একটি সাইড ইফেক্ট আছে। উতপাদনে প্রযুক্তি ব্যাবহার করলে জনবলের নিযুক্তি কমে যায়। বেসরকারি উতপাদনশিল্পে এটা চলে। কিন্তু, সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের উতপাদনে প্রযুক্তি ব্যাবহার করলেও জনবলের ব্যাবহার কমেনা, বরং যোগ হয়। এতে উৎপাদনশীলতার নীট বৃদ্ধি হয়না।
সর্বশেষ, আমরা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করি। যাকে বলি টেকনোলজি ইনোভেশন। এটা ১-১০০% ভাগ হতে পারে। আমার ধারনা, বাংলাদেশে আমরা প্রযুক্তি ভোগ করি ১০০% ক্ষেত্রে, উতপাদনে ব্যবহার করি ৪০-৫০% ক্ষেত্রে, এবং উদ্ভাবন করি ১-৫% ক্ষেত্রে। আসুন, আমরা উৎপাদনে এবং উদ্ভাবনে এগিয়ে আসি।
Print [1]