রিপোর্টারের নাম , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪

বিএনপি সবসময় তাদের নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করার জন্য সরকারের ওপর দোষারোপের রাজনীতি করছে, তাদের এটি পরিহার করার অনুরোধ জানাই।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির অভিযোগ- হবিগঞ্জে তাদের সমাবেশে বিনা উসকানিতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সারা দেশে যেখানেই সমাবেশ করে সেখানেই তারা নিজেরা মারামারি করে। হবিগঞ্জের আগে সিলেটে তাদের বিজয় দিবস উপলক্ষে ডাকা সমাবেশে চেয়ার বসা নিয়ে তারা যেভাবে মারামারি করেছে, সেই ভয়ে আশপাশে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারির কারণে জনগণ আতঙ্কিত। একই ঘটনা হবিগঞ্জেও। সেখানেও তাদের বিশৃঙ্খলা ও মারামারি ঠেকাতে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছিলো, এ ছাড়া অন্য কিছু নয়।

‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব তো নিজেদের মারামারির বিষয় নিয়ে কোনো কিছুই বলছেন না’- উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সভায় বিভিন্ন সময়ে যে হট্টগোল হয় তা ঠেকানোর জ‌ন্য মির্জা ফখরুল সাহেবকে চিৎকার করতে হয়। একটি বড় রাজনৈতিক দলের মহাসচিবের সামনে যেভাবে বিশৃঙ্খলা হয়, সেটা তাদের জন্য লজ্জকর। আমি মির্জা সাহেবকে অনুরোধ জানাবো, নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারের ওপর দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করুন।

সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসময় ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার এর তদন্ত করবে এবং যদি এই ঘটনায় কেউ দোষী হয় অব্যশই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তথ্যমন্ত্রী

এদিন দুপুরে দৈনিক ইত্তেফাকের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর কাওরান বাজারে ইত্তেফাক ভবনে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও সম্পাদক তাসমিমা হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামে ইত্তেফাকের ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়েও দেশ গড়ার কাজে ইত্তেফাক অবদান রেখে চলেছে।