বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

লঞ্চ ট্রাজেডি: আমাদের জীবন এখানেই শেষ আর দেহা হইবে না 

ঢাকা-টু-বরগুনা নৌরুটের এমভি অভিযান ১০ লঞ্চে আগুন লাগার পর বরগুনার বেতাগীতে চলছে শোকের ছায়া।  বেতাগী উপজেলার একজন নিহত, ৪ জন নিখোঁজ ও ২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে নিখোঁজ যাত্রীরা জীবিত আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বরগুনাগামী অভিযান দশ লঞ্চ দূঘটনা  থেকে বেচে যাওয়া বেতাগীর এক ব্যাক্তির বনর্নায় উঠে আসলো সেই সময়ের লৌহমর্শক বিবরন যা শুনলে যে কেউর গা শিওরে উঠবে।  এক সপ্তাহ আগে নিজের চিকিৎসা করাতে স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে ঢাকা গিয়েছিলেন বেতাগী ছালেহিয়া কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ হাই নেসারী হুজুর।
শুক্রবার বেতাগী ফেরার পথে দূঘটনা শিকার হয়ে অলৌকিক ভাবে বেচে ফেরেন তিনি ও তার পরিবার।
তার নিজ মুখে দেওয়া বর্ননা হবাহু তুলে ধরা হলো :
আমি ছিলাম মেশিনের পাশে যেখানে ভাতটাত রান্না করে ওইখান ছিলাম ষ্টাফ কেবিনে হঠাৎ রাত যখন সোয়া ৩টা  তখন শুনি যে আগুন লাগছে আগুন শুনে বাহির হইছি। তয় বাহির হইছি তখন আমি খালি গায় তখন আমার  স্ত্রী ও ছেলেও বের হয়ে আমরা লঞ্চের পিছনে যেখানে টয়লেট সেখানে গিয়ে দাড়াই। কিন্তু আমার যাওয়ার আর কোন সুযোগ নাই। রুমে গেল আমাদের আগুন ধরবে কিন্তু রুম আমাদের থেকে ৪/৫ফুট দূরে কিন্তু রুমে গেলে আমাদের আগুনে ধইরা হালায় এর মধ্যে আমাদের গায়ে আগুলের ফুলকি এসে আমার হাতে পরে ঠোস পরে এবং আমার স্ত্রীর পায়েও ফুলকি পরে ঠোস পরে। এর মধ্যে আগুন বেশি বেশি ছরাতে শুরু করলে আমার বউ কে বললাম আমাদের জীবন মনে হয় এই পযন্ত শেষ আর দেখা হবে না দাবি দাওয়া থাকলে ছারিয়া বিসমিল্লাহ বলে পানিতে লাফ দাও বাচতে চাইলে লাফ দিতে হবে আর শাড়িডা খুইল্যা হালাও কাপড়ে সমস্যা হয়। আমার স্ত্রী বলে  শাড়ি খোলা যাবে না মৃত্যু আইয়া থাকলে উপায়  কিন্তু শাড়ী খোলা যাবে না। আমি বললাম তুমি শাড়ি পরে লাফ দাও ছেলেক বললাম তুই লুঙ্গি টাইট করে বাধবি  এরপর আমি আগে পানিতে লাপ দিমু তারপর তোরা আমার দেখাদেখি লাফ দিবি। এরপর আমি লাপ দিলাম পরে ওরাও লাফ দিলো আমি আমার স্ত্রী একহাত ধরলাম আর ছেলে ধরলো একহাত ধরে আস্তে আস্তে সাতার শুরু করলাম। এখন দেখি একটা মহিলা আর পরুষ আর তাদের বাচ্চা পানিতে ভাসে সে আমার ছেলেকে বললো যেন ওর বাচ্চা ধরে কিন্তু আমার ছেলে বললো আমি ওর হাত ধরলে আমার মা ডুবে যাবে তারপর ওনি আমার ছেলের পা ধরলে ও সিডা মেরে আমারা প্রায় ২৫-৩০ মিনিট সাতার কাটার পর নদীর পাড়ে উঠলাম। এরপরে ওখানকার লোকজন আমাদের সাহায্যে করে। আল্লাহর রহমতে আমরা বেচে ফিরলাম।