করণা মহামারীর জয় করে ২০২১নতুন বছরের সাধারণ মানুষের আশা ছিল জীবনে স্বস্তি ফিরবে। কিন্তু করোনা প্রতাপ কমলেও সাধারণ মানুষের জীবনধারা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বগতি।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া দেশের বাজারে সিন্ডিকেট অতিমুনাফা ইত্যাদি কারণে বিশ্বজুড়ে দাম বেড়েছে চাল ,ডাল, তেল, চিনি, মাংস, পেঁয়াজ, মসলা সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের। পণ্যের দাম বেড়েছে ৫০থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীদের হিসেবে বাজারে এই অস্থির চিত্র আগে কখনো দেখা যায়নি চলতি বছরে কিছু পণ্যের দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। হলে বা শহর জুড়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছেন কিভাবে সংসার চলবে।
বাজার বিশ্লেষণ করা বলছে ,টিসিবির ট্রাকের সামনে দীর্ঘ লাইন থেকেই বোঝা যায় নিত্যপণ্যের বাজারে মানুষ কতটা কষ্টে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নজরদারির ব্যবস্থা ছিল কম। কঠোর নজরদারি থাকলে নিয়ন্ত্রণ করা যেত বাজারে।
কাব্য সভাপতি এস এম নাজির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বাজারে এমন পরিস্থিতে কার্যকর নজরদারি দেখা যায়নি। সরকারি হিসেবে চালসহ অনেক পণ্যের পর্যাপ্ত উৎপাদন হল ক্রমাগত দাম বেড়েছে। চাল ডাল তেল চিনি মাংস দুধসহ ৫২টি পণ্যের নিয়মিত বাজারে তথ্য রাখে। আগের বছরের তুলনায় এ বছর চলে এসছে দ্রব্যের দাম বেড়েছে। কমেছে মাত্র নয়ট পণ্যের দাম।
টিসিবি তথ্যটি পণ্যের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি আটটি দাম বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি হারে বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। ১ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে চৌদ্দটি পণ্যের দাম।
ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল হাসেম গণমাধ্যমকে বলেন এ বছরের চিনির দাম যে হারে বেড়েছে তা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য বৃদ্ধির কারণ।